আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফের ধস নামল ভারতের শেয়ার বাজারে। তার প্রভাবে বিদেশি আর্থিক সংস্থার শেয়ার বিক্রির হিড়িক পরে গেছে। এতে টাকার দাম কমে দাড়িয়েছে ৬৮-র নীচে। গত ২৮ মাসের মধ্যে এটি সর্বনিম্ন দরপতন। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্কটা নয়, এই দরপতনের জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে আঙ্গুল তুলছে বিরোধীরা।
বাজার বন্ধের সময়ে সেনসেক্স ৪১৭.৮০ পয়েন্ট নীচে থাকলেও এক সময়ে সূচক ৫৮০ পয়েন্টেরও বেশি পড়ে চলে যায় ২৩ হাজারের ঘরে। তবে পরে ভারতীয় আর্থিক সংস্থার শেয়ার কেনার হাত ধরে বাজার কিছুটা বাড়ায় ২৪ হাজারের ঘরেই থিতু হয় সেনসেক্স। লেনদেন শেষে সূচক ছিল ২৪,০৬২.০৪ অঙ্কে, গত ২০ মাসে যা সর্বনিম্ন।
ডলারে টাকাও এ দিন বাজার বন্ধের সময়ে কিছুটা বেড়ে ২৩ পয়সা পড়েছে। ফলে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬৭.৯৫ টাকা। এ দিন এশিয়া-ইউরোপ-আমেরিকা–বিশ্বের প্রায় সমস্ত বাজারেই সূচকের মুখ ছিল নীচের দিকে।
কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদি জমানার ২০ মাসে অর্থনীতির ভিত দুর্বল হয়ে যাওয়াতেই শেয়ার বাজারের এই টালমাটাল অবস্থা এবং টাকার পতন। কংগ্রেসের মুখপাত্র দীপেন্দ্র সিংহ হুডা বলেন, ‘‘যখন মোদি সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন ডলারের দাম ছিল ৫৮ টাকা।
মোদি বলেছিলেন, ভারতীয় মুদ্রা ভেন্টিলেটরে চলে গিয়েছে। এখন তা হলে টাকা কোথায় পৌঁছেছে? চলতি মাসে বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি শেয়ার বাজার থেকে ৭০ কোটি ডলার তুলে নিয়েছে। লগ্নিকারীদের আস্থা ফেরাতে সরকার কী করছে? প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর করছেন, বিদেশি লগ্নি বিদায় নিচ্ছে।
লগ্নিকারীদের আশ্বস্ত করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজন বলেন, বিদেশি সংস্থাগুলি সর্বত্রই তড়িঘড়ি লগ্নি কাটছাঁট করছে, যার প্রভাব এড়াতে পারছে না ভারত। তবে মূল্যবৃদ্ধি, রাজকোষ ঘাটতিতে রাশ টেনে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলে শীঘ্রই ফিরে আসবেন লগ্নিকারীরা।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার জানিয়েছে, ২০১৬ সালে বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৩.৪%। আগের পূর্বাভাস ৩.৬%। সূচককে টেনে নামানোর এই অন্যতম কারণের পাশাপাশি ছিল তৃতীয় ত্রৈমাসিকে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের খারাপ আর্থিক ফলাফলের খবর, যার প্রভাবে বুধবার রিলায়্যান্সের শেয়ার দর ৪% পড়ে যায়।
২১ জানুয়ারি ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস