আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ৭ জুন ভেঙে গেল নেদারল্যান্ড সরকার। সরকারের ক্ষমতাসীন চার দলের মধ্যে বনিবনা নেই। মূলত মাইগ্রেসন ইস্যুকে কেন্দ্র করেই ভেঙে গেল সরকার। দলগুলির মধ্য়ে মতবিরোধের জেরে ভেঙে গেল সরকার। ইস্তফা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুত্তে। তার এই পদত্যাগের জেরে স্বাভাবিকভাবেই আবার ভোট হতে পারে।
ডাচ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটা আর লুকোছুপির কিছু নেই। মাইগ্রেসন পলিসি নিয়ে আমাদের দলগুলির মধ্যে মতবিরোধ চলছিল। আর দুর্ভাগ্যবশত আমরা এটা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি যে এই যে মতবিরোধ সেটা মেনে নেওয়া আর সম্ভব নয়। তার জেরে আমি ও আমার গোটা মন্ত্রিসভা লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।
এদিকে দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন অনুসারে খবর, এই ইস্তফা দেওয়ার পরেই বিরোধীরা একেবারে দল বেঁধে বলতে শুরু করেছেন আবার ভোট করাতে হবে। নতুন করে সরকার তৈরি করতে হবে।
এদিকে অ্যান্টি ইমিগ্রেশন পার্টি ফর ফ্রিডমের নেতা গির্ট উইল্ডার্স টুইট করে জানিয়েছেন, দ্রুত ভোট করতে হবে। এদিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে। গ্রীন লেফটের নেতা জেসি ক্লেভারও ফের ভোটের ডাক দিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এবার দেশে বদলটা খুব দরকার।
সূত্রের খবর, মার্ক রুত্তে বুধবার ও বৃহস্পতিবার লেট নাইট মিটিং করেছিলেন। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আলোচনা করা হয়। এরপরই দলের তরফে একেবারে সর্বসম্মতিক্রমে আলোচনা করা হয় যে মাইগ্রেশন ইস্যুতে তারা কিছুতেই একমত হতে পারছেন না। তার জেরেই তারা এবার সরকার থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। ভেঙে গেল ডাচ সরকার।
শরনার্থী ইস্যুতে গোটা ইউরোপই চিন্তিত। তবে বিভিন্ন দেশ থেকেই নানা সমস্যায় পড়ে অনেকেই চলে আসছেন নেদারল্যান্ডে। যু'দ্ধে ক্লান্ত ই'উক্রে'নে থেকেও অনেকে চলে আসছেন। আশ্রয় নিচ্ছেন নেদারল্যান্ডে। আবার উত্তর আফ্রিকা থেকেও প্রচুর শরনার্থী চলে আসছেন নেদারল্যান্ডে।
আর এভাবে স্রোতের মতো শরনার্থীরা যদি চলে আসেন তবে তো সমস্যা বাড়তে পারে। সেই মাইগ্রেসন নীতি নিয়ে কী সিদ্ধান্তে আসবে দেশ, তা নিয়েই মতবিরোধ চরমে। আর তার জেরেই ইস্তফা দিলেন ডাচ প্রধানমন্ত্রী। এবার সেখানকার রাজনৈতির পরিস্থিতি কী হবে সেটাই এখন দেখার।