আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে হয়ে গিয়েছে অনেক দিন। তবে এর মধ্যে এখনো ভালো দিনের কোন দেখা পায়নি দেশের সাধাণ মানুষ। রেড টেপের জায়গায় রেড কার্পেট সংস্কৃতি চালু করার কথা বলা হয়েছিল৷ কিন্তু হিসাব বলছে, আমলাদের কাজের ধারায় সেই পরিবর্তন এখনো আসেনি৷ এই অভিযোগ থেকেই কি আমলাদের উপর খানিক 'অসহিষ্ণু' হয়ে পড়লেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি? গত দু'সপ্তাহ ধরে আলাদা আলাদা করে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি৷ টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
শুক্রবার এক ধাক্কায় বদলি করে দেয়া হলো তাদের মধ্যে ১০ জনকে৷ কৃষি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গত ১৮ মাসে সাধারণ মানুষের জন্য যে যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল, তাদের হাল হকিকত সম্পর্কে এই বৈঠকগুলিতে খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ সব মন্ত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি৷ তার পরেই এল এই বদলির নোটিস৷ মনে করা হচ্ছে, যে যে মন্ত্রনালয়ের কাজ প্রধানমন্ত্রীর আশানুরূপ হয়নি, সেখানেই এসেছে বদল৷
প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সচিব নৃপেন্দ্র মিশ্রর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটা কমিটি করে দেয়া হয়েছে৷ তারা সচিবদের সঙ্গে মাসে একবার করে বৈঠক করে কাজের হিসাব নেবেন৷ চার মাস অন্তর অন্তর প্রধানমন্ত্রী সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ আর প্রতিমাসের শেষ বুধবার তিনি মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন৷ এই কথাটা সুস্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে, কাজ করে না দেখাতে পারলে সাথে সাথেই শাস্তি পাওয়া যাবে৷
এ দিন টেলিকম ও কৃষি সহ মোট দশ জন সচিবের দপ্তর বদল করা হয়েছে৷ নেট নিরপেক্ষতা ও কল ড্রপ নিয়ে টেলি যোগাযোগ মন্ত্রনালয় বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে৷ টেলি যোগাযোগ সচিব রাকেশ গর্গকে তুলনায় গুরুত্বহীন সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়ে দিয়ে জে এস দীপককে তার স্থানে বসানো হয়েছে৷ দীপক ছিলেন ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের সচিব৷ সেই পদে আনা হয়েছে অরুণা শর্মাকে৷ সিরজ হুসেনকে সরিয়ে এস কে পট্টনায়েককে কৃষি সচিব করা হয়েছে৷ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিভাগের সচিব হয়েছেন অবিনাশ শ্রীবাস্তব৷
সূত্রের খবর, সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ই মোদি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, তিনি চান সচিবরা কাজ করে দেখাবেন৷ যে কথাটা উহ্য রয়েছে তা হল, কাজ করে দেখাতে না পারলে হয় সরে যেতে বা কম গুরুত্বের জায়গায় চলে যেতে হবে৷ ডেপুটি সেক্রেটারি ও উচ্চপর্যায়ের ১২২ জন অফিসারের একটা তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যাদের ক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাজের ধরন বদলায়নি৷ তাদেরও সরানোর কাজটা এ বার হতে পারে৷
৩১ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই