আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঈগল পাখিকে মানুষ দীর্ঘদিন থেকে বহুমাত্রিক কাজে ব্যবহার করে আসছে। হিংস্র পশু শিকার থেকে শুরু করে গোয়েন্দাগিরি- সব ক্ষেত্রে। এই পাখির তীক্ষ্ণ দৃষ্টিশক্তি, ধারালো নখ এবং শিকারের হিংস্রতা একুশ শতকের বিষ্ময়কর আবিষ্কার ‘ড্রোন’ ভূপাতিত করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
যন্ত্রের বিপক্ষে প্রাণী পদ্ধতিটির আবিষ্কারক ‘গার্ড ফ্রম এবাভ’ নামের একটি কোম্পানি। তারা দাবি করেছে, পৃথিবীর প্রথম কোম্পানি হিসেবে শত্রুপক্ষের ড্রোন ধ্বংসের কাজে প্রাণীদের প্রশিক্ষণ দান শুরু করেছে তারাই।
কোম্পানিটির সর্বশেষ গ্রাহক হল নেদারল্যান্ড পুলিশ। অবৈধভাবে বিনা অনুমতিতে পরিচালনা করা ড্রোন ভূপাতিত করার কাজে প্রশিক্ষিত ঈগল ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাচ পুলিশ।
ডাচ পুলিশের একজন মুখপাত্র জানান, ঈগলের ব্যবহার এখনো পরীক্ষা- নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে কিন্তু ড্রোনের বিপক্ষে পাখির ব্যবহার একটি অপরিহার্য বাস্তবতা।
বিশ্বজুড়ে ড্রোনের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে অ্যান্টি ড্রোন প্রযুক্তিরও ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানি রেডিও জ্যামার এবং নির্দেশ গ্রহণ ক্ষমতা অকার্যকরকরণ মেশিন তৈরি করে ড্রোনের দৌরাত্ম কমানোর চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ড্রোনকে পরাস্ত করার জন্য ঈগল পাখির ব্যবহার সর্বশেষ সংস্করণ।
রবিবার ডাচ পুলিশ প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি প্রশিক্ষিত ঈগল আকাশে উড়তে থাকা একটি ড্রোনকে তার ধারালো নখ দ্বারা হামলা চালিয়ে ভূপাতিত করেছে। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস