আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সৈয়দ ইসকান্দার আলি মির্জা। লালবাগের এই পৈতৃক বাড়িটিতেই তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটি ২০০২ সালে ‘হেরিটেজ’ স্বীকৃতি পায়। কিন্তু তার পরেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ঐতিহাসিক এই বাড়িটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে।
ইসকান্দার মির্জা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলেও তার পৈতৃক বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যা আজ ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ এস্টেটের দায়িত্বে থাকা ডিপার্টমেন্টের উদাসীনতার কারণেই এই অবস্থা বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পুরসভার চেয়ারম্যানের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ এস্টেটের দায়িত্বে থাকা ডিপার্টমেন্টের উদাসীনতার কারণেই এই আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বাড়িটি ধীরে ধীরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের ফলে ভারত ও পাকিস্তানের উৎপত্তি হয়। স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সৈয়দ ইসকান্দার আলি মির্জা। যার জন্মভিটে মুর্শিদাবাদের লালবাগে হাজারদুয়ারির দক্ষিণ দুয়ারের সন্নিকটে। তবে এই ইতিহাস, স্থানীয় যুবকরা তো দূরের কথা, প্রবীণদের অনেকেই জানেন না। বর্তমানে বাড়িটি ইমামবাড়ি নামে পরিচিত। দেশভাগের পরে মাত্র একবার জন্মভিটেয় এসেছিলেন মির্জা সাবেহ।
ইসকান্দার আলি মির্জা তৎকালীন বম্বে যান উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য। তার সহপাঠী ছিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। কিন্তু দেশভাগের পরে পাকিস্তানে চলে যান এবং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
স্থানীয় এবং ইতিহাস প্রেমীদের দাবি মেনে ২০০২ সালে বাড়িটি ‘হেরিটেজ’ স্বীকৃতি পায়। কিন্তু ওইটুকুই। স্বীকৃতি পেলেও উদাসীনতা ও প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাড়িটি ধীরে ধীরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে।
নবাব বংশের প্রতিনিধি ছোট মিঞা অভিযোগের সুরে বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে বারবার জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। একটু যত্নবান হলেই বাড়িটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে।
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস