আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আমরা সবাই বলি- যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। কিন্তু তা কেউই মানেন না। এই ধ্বংসের বিরুদ্ধে কিভাবে বললে, প্রতিবাদ করলে তা সৃষ্টিতে পরিণত হবে? হয় তো কেউ জানে না সে কথা।
তবে প্রতিবাদের এক নতুন ভাষা আবিষ্কার করেছেন এক নারী। তাতে প্রতিবাদের সাথে করুণার বিচিত্র প্রকাশ ফুটে উঠেছে। সেই সঙ্গে ধ্বংসের বিপরীতে সৃষ্টির বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে। কিন্তু এই প্রচষ্টা কি যারা মৃত্যু, ধ্বংস আর বারুদ নিয়ে খেলা করে তাদের হৃদয়ে এতটুকু ভালবাসা জন্মাতেও সাহায্য করবে?
দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধে বার বার রক্তাক্ত হয়েছে ফিলিস্তিন। বছরের পর বছর ধরে চলা এই আগ্রাসনে ইহুদি গোলা, বোমার আঘাতে নিত্য অকাতরে প্রাণ হারায় ফিলিস্তিনি নর-নারী-শিশু। করুণার অবতার হয়ে সেইসব বোমার খোলস সংগ্রহ করে তাতে ফুল চাষ করছেন পশ্চিম তীরে বসবাসরত ফিলিস্তিনি এক দয়াময়ী নারী।
কাঁটাতারের ওপার থেকে ছুড়ে দেওয়া বোমার খোলসে এপারে রোপিত হয়েছে ফুলের চারা। প্রতিটি ফুলের চারা যেন কোমলমতি এক একটি শিশু।
শত্রুর ছোড়া বোমার খোলস-টবে ফুলের চারাগাছটির জন্য পুষ্টি যোগাচ্ছেন করুণাময়ী। সন্তানতুল্য ভালোবাসায় পরম যত্নে ফুলের ‘বোমা-টবে’ করুণার জল ঢালছেন ওই ফিলিস্তিনি জননী।
ভালোবেসে না কি পাথরে ফুল ফোটানো যায়। তাই বলে বোমায়ও! তার অভূতপূর্ব প্রতিবাদ ও করুণার এই ভাষা বুঝবে কি ইসরাইলি শাসকরা?
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস