আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথিবীর এক নম্বর সামরিক শক্তির দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তার নেতৃত্বে পশ্চিমা শক্তিগুলো গড়ে তুলেছে সামরিক জোট ন্যাটো। এত কিছুর পেছনে রয়েছে বিশ্বশক্তির নেতৃত্ব ধরে রাখা এবং আধিপত্য বস্তিার করা। কিন্তু একটি মাত্র রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়েই যদি শেষ হয়ে যায় সব শক্তি, তা হলে এত সব আয়োজন করে লাভ কি?
একটি দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হলে ন্যাটো জোটের পাশাপাশি মার্কিন বাহিনীকে তিন দিনের মধ্যে শোচনীয় পরাজয়ের স্বাদ নিতে হবে বলে জানিয়েছে একটি খোদ মার্কিন সামরিক থিং ট্যাংক। পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক মহড়া বিশ্লেষণ করে সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত র্যাান্ড করপোরেশন এ কথা জানিয়েছে।
থিংক ট্যাংকটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে রুশ সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত সদস্য দেশগুলোকে রক্ষা করতে পারবে না ন্যাটো। তা হলে কি রাশিয়ার শক্তি কতটা?
ডেইলি মেইলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে অনেক মহড়া চালিয়েছে ন্যাটো। বাল্টিক দেশ এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুনিয়ায় এ সব মহড়া চালানো হয়। এতে প্রমাণিত হয়েছে, ট্যাংক বা সাঁজোয়া বহর নিয়ে গঠিত রুশ যান্ত্রিক ইউনিটগুলোর অগ্রগতি ঠেকানো যাবে না বরং পশ্চিমা জোটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে।
এতে দেখা গেছে, রুশ বাহিনী ৩৬ থেকে ৬০ ঘণ্টার মধ্যে এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিন বা লাটভিয়ার রাজধানী রিগাতে পৌঁছে যাবে। এত দ্রুত হেরে যাওয়ার পর ন্যাটোর হাতে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আর তেমন সুযোগ থাকবে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার ২৭টি ব্যাটালিয়নের প্রতিটিরই ট্যাঙ্ক রয়েছে। কিন্তু ন্যাটোর ১২টি ব্যাটালিয়নের কোনোটিরই ট্যাঙ্ক নেই। এগুলোর রয়েছে শুধু ভারী সাজোঁয়া বহর।
প্রতিবেদনে দ্রুত পরাজয় ঠেকানোর জন্য ন্যাটোকে আগাম ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে র্যা ন্ড। এতে ন্যাটোকে বিমান ও গোলন্দাজ সমর্থনপুষ্ট তিনটি ভারী সাঁজোয়া ব্রিগেডসহ প্রায় সাত ব্রিগেড সেনা মোতায়েন করতে বলা হয়েছে।
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস