আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিচারাধীন সন্তানসম্ভবা মহিলাকে ১১ মাসের জন্য জামিন দিলেন গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি। পণমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ওই মহিলা এখন পাঁচ মাসের সন্তানসম্ভবা।
গুজরাত হাইকোর্ট ভাবনা প্রজাপতির জামিন মঞ্জুর করে জানিয়েছেন, ২০১৬-এর ৩১ ডিসেম্বর সদ্যোজাত সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
পণের জন্য ভ্রাতৃবধূকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে ভাবনাসহ তার পরিবারের সবার বিরুদ্ধে। এ মামলায় এর আগে নিম্ন আদালত প্রত্যেককে দোষী সাব্যস্ত করে, সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। তাদের দ্রুত পুলিশের কাছে আত্মসমপর্ণ করতে নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলাটি হাইকোর্টে এলে মানবিকতার খাতিরে ভাবনা প্রজাপতিকে ১১ মাসের জন্য জামিন দেন বিচারপতি। তবে অন্যদের জন্য নিম্ন আদালতের সাজাই বহাল থাকে।
ভাবনার আইনজীবীর আর্জিতে সাড়া দিয়ে বিচারপতি এমআর শাহ ও বিচারপচি জেডকে সৈয়দের বেঞ্চ জানান, প্রসবের পরই জেলে গিয়ে সাজার মেয়াদ কাটাতে হবে বছর ত্রিশের এই যুবতীকে। ভাবনার বছর দুয়েকের আরো একটি মেয়ে রয়েছে। সে-ও মায়ের সঙ্গে সংশোধনাগারে থাকবে।
জানা গেছে, ২০০৬ সালে ভাবনার ভাইয়ের স্ত্রী গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ ওঠে ভাবনাসহ পরিবারের সবার বিরুদ্ধে। সে সময় অবিবাহিত ছিলেন ভাবনা প্রজাপতি। সম্প্রতি সেই মামলার রায় দেয় নিম্ন আদালত।
৪ ফ্রেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম