আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এবার দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের সুড়ঙ্গে মোটা অংকের টাকা ঢালার ঘোষণা দিয়েছে প্রধান মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অধিকৃত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা সীমান্তে সুড়ঙ্গ শনাক্ত কার্যকর করার ব্যবস্থা বের করতে ১২ কোটি ডলার দেয়া হচ্ছে। ইসরাইলের কোম্পানিগুলোকে এ অর্থ দেয়া হবে এবং এ কাজে একই পরিমাণ অর্থ ইসরাইলও ব্যয় করবে।
গাজার সুড়ঙ্গ নির্ণয়ে ইসরাইলি কোম্পানিগুলো নানা ব্যবস্থা বের করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০০ সালের মাঝামাঝি থেকে এ নিয়ে কাজ করছে তারা। এর মধ্যে দু’টো পদ্ধতিকে বেছে নিয়ে ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে পরীক্ষা নিরীক্ষাও চালানো হয়। কিন্তু সুড়ঙ্গ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ওই দুই পদ্ধতির কোনোটাই কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয় নি। ২০১৪ সালের পর থেকে এ সংক্রান্ত গবেষণা আরো জোরদার করে তেল আবিব।
আর এ পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট ওয়ার্ক গত মাসের জানুয়ারি ইসরাইল সফর করেন। সুড়ঙ্গ নির্ণয় প্রকল্প নিয়ে কাজ করার জন্য প্রথম বছরের জন্য নগদ ৪ কোটি ডলার অনুমোদন দেন তিনি।
অবশ্য, মার্কিন এবং ইসরাইলি প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো বলছে, গাজার গোটা ৬৫ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে এ জাতীয় ব্যবস্থা বসাতে ৩৮ কোটি থেকে ৬৪ কোটি ডলার খরচ হবে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে এ খাতে তেল আবিবের বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।
২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকা ইসরাইলের সর্বাত্মক অবরোধের মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সেখানকার সাধারণ মানুষ সুড়ঙ্গ পথে আসা পণ্যের ওপর অনেকাংশই নির্ভর করতে হয়।
গাজার সুড়ঙ্গ পথগুলো হয়ে গেছে মানুষের জীবনধারণের প্রধান অবলম্বন। গাজার অধিবাসীরা সুড়ঙ্গপথে জরুরি পণ্য বিশেষ করে খাদ্য, রান্নার গ্যাস, ওষুধ, পেট্রোল এবং গবাদিপশু আনেন।
এ ছাড়া, ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন ঠেকানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এ সব সুড়ঙ্গ। প্রতিরোধ যুদ্ধের সময়ে সুড়ঙ্গ পথে চালানো ফিলিস্তিনি হামলা ইহুদিবাদী সেনাদলের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করেছে।
অবশ্য অধিকৃত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সুড়ঙ্গ যে তেল আবিব ও ওয়াশিংটনের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে তাই ফুটে উঠেছে এ অর্থ বরাদ্দের মধ্য দিয়ে।
০৫ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস