আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অসুখ-বিসুখে ডাক্তারের কাছে নিজেকে নিশ্চিন্তে সঁপে দেয়া হয়। তার প্রেসক্রাইব করা ওষুধ খেয়ে ভাবেন অসুখ সারবে। সাবধান, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য আপনাকে সতর্ক হতে বলছে।
গত এক বছরে বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২৫ হাজার এমবিবিএসের আসন বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকায়!
এমবিবিএস পড়তে গেলে জয়েন্ট এনট্রান্সে ভালো র্যাঙ্ক পেতে হবে।
এমনটাই জানা আমাদের সবার। কিন্তু পকেটে পয়সা থাকলে এমবিবিএসে ভালো ফল না করেও ডাক্তার হয়ে যাওয়া যেতে পারে। ডাক্তার বানানোর ব্যবসা চালাচ্ছে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো।
মোটা অঙ্কের টাকা ফেললেই হাতে গরম মেডিকেল ডিগ্রি। গত এক বছরে এমবিবিএসের আসন বিক্রিতে মোট লেনদেন হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। এমডির আসন বিক্রিতে লেনদেন হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। এমন ঘটনা ভারতে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানা গেছে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ১৫% ম্যানেজমেন্ট কোটা। কিন্তু এসব কলেজ ৫০% আসনই বিক্রির জন্য রেখে দেয়। মেধাভিত্তিক ভর্তির কথা মুখে বললেও অ্যাডমিশন টেস্ট বেশির ভাগ সময়ই লোক দেখানো হয়।
আসন বিক্রির লেনদেন সব সময় নগদে হয়। ফলে কোনো প্রমাণ থাকে না। তাই এনট্রান্স পরীক্ষায় ভালো ফল করেও পকেটে পয়সা না থাকলে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যায়।
৬ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম