শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৮:০৩:৪৪

মাঝপথে ট্রেনের ২৫০০ যাত্রী রেখে চলে গেলেন চালক!

মাঝপথে ট্রেনের ২৫০০ যাত্রী রেখে চলে গেলেন চালক!

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাবাঙ্কি জেলার বুড়ওয়াল জংশনে একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে। ডিউটির সময় শেষ হওয়ায় ট্রেনের ২৫০০ যাত্রী রেখে চলে যান চালকরা। কর্তৃপক্ষ পরে অন্য ষ্টেশন থেকে চালক এনে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। 

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বুধবার উত্তর প্রদেশে বড়বাঁকি জেলার বুঢ়ওয়াল জংশনে সহরস-নয়া দিল্লি ছাঁট পূজা স্পেশাল ট্রেন ও বারুয়ানি-লক্ষ্ণৌ এক্সপ্রেস নামের ট্রেন দুটি চালাতে অস্বীকৃতি জানায় দুই চালক। 

এতে দুটি ট্রেনই আটকা পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ট্রেনে পানি, খাবার ও বিদ্যুৎ সংযোগের অভাব দেখা দেয়। এতে যাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। যাত্রীদের একটা বড় অংশ রেললাইন অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করেন।

এদিকে দুই ট্রেন লাইনে থেমে থাকায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট রেল ট্র্যাক। এমন পরিস্থিতি কয়েক ঘণ্টা চলে। এরইমধ্যে অন্য জংশন থেকে চালক এনে ট্রেন দুটিকে চালানোর ব্যবস্থা করা হয়। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।  

রেল সূত্রে খবর, গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল সহরস-নয়া দিল্লি ট্রেনের। কিন্তু, ট্রেনটি পরের দিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে সহরসা স্টেশন ছাড়ে। ১৯ ঘণ্টা দেরিতে গোরক্ষপুর স্টেশন পৌঁছায়। বুরওয়াল স্টেশনে এটি দাঁড়ানোর কথা না থাকলেও দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে চালক ট্রেন থামিয়ে দেন সেখানে। এরপর ডিউটির সময় শেষ বলে চলে যান।

অন্যদিকে বারাউনি-লখনৌ জংশন এক্সপ্রেস সাড়ে ৫ ঘণ্টা দেরিতে চলছিল। সেই ট্রেনও বুরওয়াল স্টেশনে পৌঁছালে যাত্রীরাও দেখেন, চালক ট্রেন ছেড়ে চলে গেছেন।  

ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, আমাদের যাত্রা সর্বোচ্চ ২৫ ঘণ্টা ২০ মিনিটে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তথাকথিত ‘স্পেশাল ট্রেন’ আজ তৃতীয় দিন। 

ভারতীয় রেল আমাদের মতো গরিব যাত্রীদের জন্য তৈরি করেছে ‘বিশেষ অত্যাচার’। এখানে পানি নেই, খাবার কেনার ব্যবস্থা পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহও নেই। লোকো-পাইলট এবং ট্রেনের গার্ড উভয়েই ঘুমের কারণ দেখিয়ে ট্রেন থেকে নেমে গেছে।

এ ঘটনার পর বুড়ওয়াল জংশন থেকে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এতে যাত্রীদের রেল ট্র্যাক অবরোধ করে সমস্যা সমাধানের দাবি জানাতে দেখা গেছে।

রেলের একজন কর্মকর্তা জানান, ট্রেনের একজন লোকো-পাইলট অস্বস্তি প্রকাশ করে এবং ট্রেন ছেড়ে চলে যায়। যেহেতু যাত্রীদের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাই গোন্ডা জংশন থেকে নতুন কর্মীদের ডাকা হয়েছিল এবং ট্রেনটি ৫টা ৪২ মিনিটে লক্ষ্ণৌ জংশনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল। পরে ট্রেনটি ৭টা ২৫ মিনিটে লক্ষ্ণৌ পৌঁছায়। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে