আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ মোহাম্মদ সাইদ। তার বক্তৃতায় উদ্ধুব্ধ হয়েই লস্করে যোগ দিয়েছিলেন। এবং হাফিজের নির্দেশেই ভুয়া পরিচয়ে ভারতে এসেছিলেন তিনি। মুম্বাইয়ের উপর তৃতীয় ও শেষ হামলাটাই সফল হয়। এর আগে আরো দু'বার এধরনের হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের সামনে নিজের জবানবন্দিতে এমনই সব বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরলেন ২৬/১১ মুম্বাই হামলার অন্যতম প্রধান চক্রী মার্কিন বংশোদ্ভূত ডেভিড কোলম্যান হেডলি। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
সোমবার মুম্বাইয়ের নগর দায়রা আদালতে বিশেষ বিচারক জিএ সনপের এজলাসে সকাল সাতটা থেকে শুরু হয় হেডলির জবানবন্দি। আদালতের সামনে হেডলি দাবি করেছেন, লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ মোহাম্মদ সাইদের বক্তৃতায় অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি Let- একজন একনিষ্ঠ সদস্য হয়ে উঠেছিলেন। ভারতে আসার জন্য নিজের নাম বদলে দাউদ গিলানি করেন তিনি। তার ভিসায় জন্মস্থান, জন্মতারিখ, মায়ের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট নম্বর ছাড়া আর সব তথ্যই ভুল ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তার দাবি, ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বাই হামলার আগে তিনি সাতবার ভারতে এসেছেন। এমনকি ওই ঘটনার পর ২০০৯ সালের মার্চেও তিনি দিল্লি ঘুরে গেছেন। মুম্বাই হামলায় তার সহযোগী ছিল Let- আর এক সদস্য সাজিদ মির।
এদিন ভিডিয়ো কনফারেন্সিং শুরু হওয়ার পর সরকার পক্ষের বিশেষ আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম বলেন, 'হয়তো বিশ্বের আইনি ইতিহাসে এই প্রথমবার এক জঙ্গি বিদেশ থেকে সরাসরি তথ্য-প্রমাণ দেবেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জকে প্রতিহত করতে আমেরিকা এই এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।' মঙ্গলবারও আদালতে এভাবেই জবানবন্দি দেবেন হেডলি। মুম্বাই হামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে মার্কিন আদালতের রায়ে ৩৫বছরের সাজা হয়েছে তার। বর্তমানে তিনি আমেরিকার আদালতে সাজা খাটছেন।
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই