আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফাঁসি কার্যকরের আগে শেষ ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছিলেন আবদুল্লাহ আজম আল কাহতানি। রোববার ইরাকে ফাঁসি কার্যকর করা হয় আবদুল্লাহ আজম আল কাহতানির।
তিনি এর আগে শেষ ইচ্ছার কথা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমাকে মদিনায় দাফন করো। আমার স্ত্রীর দেখাশোনা করো। একটি ব্যাংকে কিছু ঋণ আছে তা পরিশোধ করো। জেলে আরেক কয়েদির কাছ থেকে ঋণ করেছি ৮০০ ডলার। দয়া করে তা শোধ করে দিও।
আবদুল্লাহ আজম আল কাহতানি সৌদি আরবের নাগরিক। বর্তমানে ইরাকের কারাগারে আছেন সৌদি আরবের ৬৯ জন নাগরিক। তার মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় আছে।
৪ জনের মৃত্যুদণ্ড শিথিল করা হয়েছে। ১৫ জনের বিচার চলছে। অনুপ্রবেশের অভিযোগ আছে ২৪ জনের বিরুদ্ধে।
অনলাইন সৌদি গেজেট বলছে, ২০০৯ সাল থেকে আল কাহতানি ইরাকের কারাগারে বন্দি ছিলেন।
ইরাকে বন্দি সৌদি আরবের নাগরিকদের আইনজীবী হামিদ আহমেদ বলেন, বাগদাদের দক্ষিণে আল নাসিরিয়াহ কারাগারে আল কাহতানির ফাঁসি কার্যকর হয়। এ জন্য বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।
কারণ অ্যাটর্নি জেনারেল তিন মাস আগে রায় কার্যকর বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এরপরও কেন আল কাহতানির ফাঁসি কার্যকর হলো তা নিয়ে সন্দিহান তিনি। প্রায় দেড় বছর আগে কাহতানির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়।
৯ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম