আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুর্ধর্ষ কিলার শিক্ষিকা, খুন করতে তার একটুখানি হাতও কাঁপেনি। শিক্ষিকার কিশোরী মেয়েকে ভালোবাসত তার স্কুলেরই সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্র। সেই অপরাধে নিজের ছাত্রকে নৃশংসভাবে খুন করলেন রাঁচির স্যাফায়ার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের হিন্দি শিক্ষিকা নেজমা খাতুন।
বছর আটত্রিশের ওই শিক্ষিকার কোয়ার্টারের সামনে থেকে গত শুক্রবার ছাত্র বিনয় মাহাতোর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। তদন্তে নেমে বুধবার শিক্ষিকা নেজমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
'অনার কিলিং'-এর হিংসা এবার প্রাণ কাড়ল বছর ১৩-এর কিশোরেরও। রাঁচির স্যাফায়ার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের হোস্টেলেই থাকতো সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র বিনয় মাহাতো। স্ কুলের শিক্ষিকা নাজমা খাতুনের ১১ বছরের মেয়েকে পছন্দ করতো সে।
কিন্তু কিশোর-প্রেম মেনে নিতে পারেননি নাজমা। গত শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে বিনয়কে গুরুতর জখম করে তার কোয়ার্টারের দোতলার ঘর থেকে নিচে ফেলে দেন তিনি।
পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় বিনয়ের। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে যে, শুক্রবার রাতে নিজের হোস্টেল থেকে হিন্দি শিক্ষিকার কোয়ার্টারের দিকে গিয়েছিল বিনয়। রাতের বেলা মাঝেমধ্যে সে ওই মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে যেত।
সিসিটিভি ফুটেজে পাওয়া তার বডি ল্যাঙ্গোয়েজেই স্পষ্ট বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তার কিছু পরেই টিচার্স কোয়ার্টারের গেটে সামনে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তবে দুই কিশোর-কিশোরীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন মেয়েটির বাবা-মা। এ ধরনের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার মতো বয়সে তারা পৌঁছায়নি বলে দাবি করেছেন তারা।
আমাদের সমাজে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক কোন তলানিতে এসে পৌঁছেছে, তা এ ঘটনায় স্পষ্ট বলে মনে করছেন অন্য ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকরা।
১০ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম