আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটেন থেকে কোহিনূর হিরে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে দায়ের করা মামলা গ্রহণ করলো পাকিস্তানের একটি আদালত। এ ব্যাপারে সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপের নির্দেশ দিতে ওই পিটিশনে জানানো হয়। ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে ওই মহামূল্য হিরে ফেরত আনার জন্য ভারত বহু বছর ধরে চেষ্টা করছে বলে ওই পিটিশনের বিরোধিতা করা হয়। কিন্তু সেই আপত্তি উড়িয়ে পিটিশনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে লাহৌর হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারপতি এই পিটিশনের ব্যাপারে আদালতের রেজিস্ট্রার অফিসের আপত্তি খারিজ করে দেয়। মামলায় ব্রিটেনের রানী ও পাকিস্তানে ব্রিটিশ হাইকমিশনকে বিবাদী পক্ষ করা হয়েছে।
১০৫ ক্যারাটের ওই রত্ন পাকিস্তানে ফেরানোর আর্জি জানিয়ে পিটিশনটি দায়ের করেছেন ব্যারিস্টার খালিদ মাহমুদ খান। এক্ষেত্রে তার যুক্তি, ব্রিটিশ শাসনে বর্তমান পাকিস্তানের অন্তভূক্ত অংশ থেকে ওই হিরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাই কোহিনূর পাওয়ার ব্যাপারে পাকিস্তানের হক রয়েছে। আদালত উপযুক্ত বেঞ্চে মামলাটি পাঠিয়ে শুনানির দিন ধার্য করার নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে রেজিস্ট্রার অফিস আর্জিটি খারিজ করে দিয়েছিল। অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ব্রিটিশ রাণী পাকিস্তান আদালতের বিচারাধীন নয়। এরপর ফের হাইকোর্টে আর্জি জানান পিটিশনার। তিনি তার আর্জিতে যুক্তি দেন, ব্রিটেনে রাণীকে বিভিন্ন মামলায় বিবাদী করা যায়। তাহলে পাকিস্তান কোর্টে করা যাবে না কেন।
জাফরি তার আর্জিতে বলেন, মহারাজা রঞ্জিত সিংহের পৌত্র দলীপ সিংহের কাছ থেকে ব্রিটেন জোর করে কোহিনূর চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল। রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেকের সময় ১৯৫৩-তে কোহিনূর রাজমুকুটের অঙ্গ হয়ে ওঠে।
ব্রিটেনে পড়াশোনা করা জাফরি বলেছেন, মামলা দায়েরের আগে এ ব্যাপারে রাণী ও পাকিস্তান কর্মকর্তাদের কাছে তিনি ৭৮৬ টি চিঠি পাঠিয়েছেন।
ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই