আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুই কারণে উত্তর কোরিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল রি ইয়ং গিলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কমিউনিস্ট শাসিত দেশটির তরুণ স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উনের আদালতে এই রায় দেয়া হয় এবং তা অত্যান্ত গোপনীয়তার সাথে কার্যকর করা হয়। সেই সঙ্গে গুরুতর অভিযোগ এনে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে।
২০১৪ সালে সরকার বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে কুকুরের দিয়ে নিজ কাকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন কিম জং উন । এবার খোদ দেশের সেনাপ্রধানকেই ফাঁসিতে চড়ালেন তিনি। সেনাপ্রধানের মৃত্যুদণ্ড কিভাবে কার্যকর করা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়, তবে দেশটির অতীত ইতিহাস বলছে লোমহর্ষক কছিুই রি ইয়ংয়ের ভাগ্যে ঘটেছে!
এই খবর দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ। উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে জানেন এমন একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে একই ধরণের খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স। তবে তিনি কিভাবে এ তথ্য পেয়েছেন তা জানাতে অস্বীকার করেন।
ইয়োনহাপ এ ধরনের তথ্যের সূত্র প্রকাশ করে না। তবে পরবর্তীতে তা সাধারণত সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ ধরনের খবরের সত্যতা যাচাই করা কঠিন।
২০১৩ সালের অগাস্টে কিম জং উন যখন কিম ক্ষমতায় আসেন, তখন থেকেই সেনাপ্রধান ছিলেন রি ইয়ং গিল। কিমের খুব কাছের মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন রি। উত্তর কোরিয়ার সরকারি খবর অনুযায়ী, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল রি-এর বিরুদ্ধে।
সেই অভিযোগেই তিনি দোষী প্রমাণিত হন কিম জং উনের আদালতে। শুধু সেনাপ্রধানই নয়, সরকারের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে সরিয়েছেন কিম। তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা ও দক্ষিণ কোরিয়ার সোপ অপেরা দেখার অভিযোগ ছিল।
সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির পাশাপাশি দেশদ্রোহিতারও অভিযোগ আনা হয় বলে বিভন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস