আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বারবার আসে ওরা, ওদের ভয়ে ১৩৫টি স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। চিতাবাঘের আতঙ্কে দুদিন ধরে বন্ধ বেঙ্গালুরুর ১৩৫ টি স্কুল। রোববার ছুটির দিনে এক স্কুলে ঢুকে পড়েছিল চিতাবাঘ।
চিতাবাঘের তাণ্ডবের ছবি আতঙ্ক বাড়িয়েছিল অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষক-কর্মীদের। এরপর মঙ্গলবার ও বুধবার ফের জনবহুল এলাকায় তিনটি চিতাবাঘকে ঘোরাফেরা করতে দেখে, ভয়ে আর বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে পারছেন না বাবা-মায়েরা।
বৃহস্পতিবার তল্লাশির পর চিতাবাঘের খোঁজ না মিললে, তবে কবে স্কুল খুলবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি শিক্ষা অধিদপ্তর।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন খবর জানা গেছে।
রোববার ভিবজিওয়র স্কুলের ক্যাম্পাসে অবাধে চিতাবাঘের ঘুরে বেড়ানো ও তার থাবায় ছয়জনের আহত হওয়ার খবরে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে বেঙ্গালুরুতে।
এরপর মঙ্গলবারও শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নাল্লুরহাল্লিতে একটি ও ভিবজিও'র স্কুলের পেছনে দুটি চিতাবাঘ দেখতে পান এক মহিলা। এরপরই তীব্র আতঙ্কে বুধবার বন্ধ রাখা হয়েছিল বেঙ্গালুরু লাগোয়া প্রায় ৮০টি স্কুল।
এরপর ফের বুধবার সন্ধ্যায় ওই একই এলাকায় তিনটি চিতাবাঘকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন এক নির্মাণকর্মী। দুদিন ধরে বন দপ্তরের কর্মীরা নাল্লুরহাল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় চিরুণি তল্লাশি চালালেও চিতাবাঘ চোখে পড়েনি।
চিতাবাঘের ভয়ে কোনো ঝুঁকি না নিয়ে বাধ্য নয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাই বৃহস্পতিবারও ছুটি দেয়া হয়েছে ১৩৫টি স্কুল।
শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কুল বন্ধ থাকলেও স্কুলে যেতে হবে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। বিকেল পর্যন্ত তল্লাশি চালানোর পর অগ্রগতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে শুক্রবার।
১১ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম