শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৭:২৬:১৩

‘আগে হ্যাঁ বলো, না হলে গাড়ি স্টার্ট করব না’

‘আগে হ্যাঁ বলো, না হলে গাড়ি স্টার্ট করব না’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তিনি ভারতের অনেক বড় একজন শিল্পপতি। তার স্ত্রী আইপিএলের একটি ক্রিকেটদলের মালকিন। আজ তারা ভারতের সবচেয়ে ধনী দম্পতি। কিন্তু এ গল্প তাদের নয়। এ গল্প যুবতী নীতা ও উঠতি শিল্পোদ্যোগী মুকেশকে নিয়ে।

গুজরাটি পরিবারে বেড়ে ওঠা নীতা ছোটোবেলা থেকেই নাচে পারদর্শী। মুকেশের সঙ্গে যখন তার আলাপ শরু, তখন তিনি ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী হিসেবে বেশ নাম করেছেন। তখন গুজরাটের বিভিন্ন জায়গায় তার নাচের অনুষ্ঠান হচ্ছে। এরকমই একদিন এক নাচের অনুষ্ঠানে নীতার নৃত্যকলায় মুগ্ধ হন আম্বানি। একদিকে অসম্ভব সুন্দরী, অন্যদিকে ঐতিহ্যের মিশেল। আর দেরি না করে আয়োজকদের কাছ থেকে তরুণী নীতার ঠিকানা, ফোন নাম্বার জোগাড় করে ফেলেন রিলায়েন্সের প্রাণপুরুষ।

পরদিনই নীতার বাড়িতে ফোন যায়। ফোন ধরেন নীতা নিজেই। ফোনের ওপারে তখন আম্বানি। এদিকে কোনো উদ্ভট লোকের ফোন ভেবে লাইন কেটে দেন নীতা। মশকরা করে নিজেকে এলিজ়াবেথ টেলর বলেও জানান তিনি। দমে না গিয়ে এরপর আবার ফোন করেন আম্বানি। এবার ফোন ধরেন নীতার বাবা। অবশেষে বাবার জোরাজুরিতেই আম্বনির সঙ্গে দেখা করতে মত দেন নীতা।

অফিসে তার সঙ্গে দেখা করার পর একদিন নীতাকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান আম্বানি। ইতিমধ্যে অবশ্য কোনো রাখঢাক না রেখে মুকেশের জন্য নীতার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পেশ করেদিলেন আম্বানি।

সেদিন আম্বানির বাড়ির ডোরবেলটা বাজতেই দরজা খুলেছিলেন মুকেশ। সামনে তখন দাঁড়িয়ে সুন্দরী নীতা। এতদিনে বাবার কাছে নীতার সম্পর্কে প্রচুর প্রশংসা শুনে ফেলেছেন মুকেশ। নিজেরা দুজনে অল্প কিছুক্ষণ কথা বলার পর ঠিক করেন বাইরে কোথাও দেখা করবেন।

শুরু হয় মুকেশ-নীতার প্রেমপর্ব। তবে তখনো বিয়ের ব্যাপারে মনস্থির করতে পারেননি নীতা। পড়াশোনাটা আগে শেষ করে নেয়াই তখন তার লক্ষ্য। এমন সময়ই একদিন নীতাকে পাশে বসিয়ে পোদ্দার রোড দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন মুকেশ। সিগন্যাল লাল দেখে গাড়ি দাঁড় করান মুকেশ। তখনো নীতা জানতেন না, এরপর কি হতে চলেছে! সিগন্যাল সবুজ হয়। কিন্তু, মুকেশ আর গাড়ি স্টার্ট দেন না। রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম হতে শুরু করে। নীতার শত অনুরোধেও সেদিকে তখন ভ্রূক্ষেপ নেই মুকেশ আম্বানির। তার নাছোড় প্রশ্ন, ‘আমায় বিয়ে করবে?’ ফের একই প্রশ্ন, ‘আমায় বিয়ে করবে?’ এরপর মুকেশের প্রচ্ছন্ন ‘হুমকি’। উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত গাড়ি স্টার্ট করবেন না তিনি। উপায় না দেখে অগত্যা ‘হ্যাঁ’-টা বলেই ফেলেন নীতা। মুকেশের ঘরণী হয়ে শুরু হয় পথ চলা। আজও চলছে সেই গাড়ি।-জিনিউজ
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে