আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী সুন্নি দেশ সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন ৩৯ দেশের ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ জোটের সেনাপ্রধানরা বৈঠকে বসেছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে জোট গঠনের পর সদস্য দেশগুলোর সেনাপ্রধানদের এটিই প্রথম বৈঠক।
জোট গঠনের সময় জানানো হয়েছিল, সদস্যদেশগুলো পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদান, সহিংস মতাদর্শ দমনে পাস্পরিক সহায়তা ও প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করে জোট গঠন করা হয়েছে। ফলে এই বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।
সৌদি নেতৃত্বাধীন এই জোটে আফ্রিকার ক্ষুদ্র দেশ কমোরোসের মত দেশের পাশাপাশি আঞ্চলিক পরাশক্তি তুরস্কের মত শক্তিশালী দেশও অন্তর্ভুক্ত আছে।
সৌদি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আহমেদ আল-আসিরি বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে জোটের কার্যক্রম বৃদ্ধির পরামর্শের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সেনাপ্রধানদের বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।
আলোচনার পর তিনি বলেন, আমরা মাত্রই জোটটির ভিত্তি স্থাপন করছি। কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি।
সৌদি আরবসহ এই জোটের বেশকিছু সদস্যরাষ্ট্র ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধেও সৌদি আরব উপসাগরীয় আরব জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
আসিরি বলেন, নতুন জোটের জন্য রিয়াদ হেডকোয়ার্টার নির্মাণ করবে ও অর্থসংস্থান করবে। জাতিসংঘের অনুমোদিত ও স্বীকৃত পন্থায় ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ এই জোট পরিচালিত হবে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, খুব শীঘ্রই সদস্যরাষ্ট্রগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরাও বৈঠকে মিলিত হবেন। -এএফপি
২৮ মার্চ ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস