আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল বলেছেন, উদ্বাস্তুদের জন্য সিরিয়ার ভেতরেই তুর্কি সীমান্তের কাছে সেইফ জোন বা নিরাপদ অঞ্চল গঠন করতে হবে। এ বিষয়ে তিনি ব্যক্তিগভাবে চেষ্টা শুরু করেছেন বলে জানান। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও মারকেলের ধারণাকে জোরালোভাবে সমর্থন দিয়েছে তুর্কি সরকার।
গতকাল (শনিবার) তুরস্ক সফরের সময় দেশটির গাজিয়ানতেপ শহরে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাউদওগ্লুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মারকেল নিরাপদ অঞ্চল গঠনের দাবি জানান। তিনি বলেন, “আমি আবারো দাবি জানাচ্ছি যে, আমাদের নিরাপদ অঞ্চল থাকতে হবে যেখানে ভালোভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয় এবং গ্রহণযোগ্য মাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।”
ইউরোপে যাতে সিরিয়ার উদ্বাস্তুদের ঢল বন্ধ হয় সেজন্য জার্মানি ও তুরস্ক চায় যে, সিরিয়ার উদ্বাস্তুরা সিরিয়ার ভেতরেই থাকুক। তবে এখন পর্যন্ত এ ধারণার বিরুদ্ধে অবস্থান রয়েছে জাতিসংঘের। বিশ্ব সংস্থাটি বলছে, উদ্বাস্তুদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত এ চিন্তা কার্যকর করা যাবে না।
ইউরোপে শরণার্থী যাওয়া বন্ধ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি করেছে তুরস্ক; বিনিময়ে বিপুল অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়েছে আংকারা। এছাড়া, তুরস্কের নাগরিকদের জন্য ইউরোপের ভিসা সহজ করার শর্তও মেনে নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষক এ পদক্ষেপকে সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখে আসছেন। অনেকে বলছেন, তুরস্ক ঘুষের বিনিময়ে সিরিয়ার শরণার্থীদের আটকে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।
২৪ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই