আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফের প্রচণ্ডের হুঙ্কার৷ তার কারণেই তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হলো নেপালে৷ সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করা উচিৎ৷ এমনই কথা বলে হুঙ্কার দিলেন নেপালি মাওবাদীদের চেয়ারম্যান প্রচণ্ড৷ ফলে নতুন সংবিধান কার্যকরী হওয়ার ও নতুন সরকার গঠনের সাত মাসের মধ্যেই নেপাল আবারও রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণের মুখে দাঁড়িয়ে৷
সরকারে আসার পর রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে অযথা গড়িমসি করছে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির দল কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (ইউএমএল)৷ তাদের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে৷ এমনই বিবৃতি দিয়েছেন ইউসিপিএন মাওয়েস্ট (নেপালি মাওবাদী) প্রধান প্রচণ্ড৷ একইসঙ্গে নিজেকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরেছেন তিনি৷
নতুন সরকার গড়ার জন্য আইনসভায় প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেসের সমর্থন চেয়েছেন প্রচণ্ড৷ পাশাপাশি নেপাল-ভারত সীমান্তের তরাই অঞ্চলে শক্তিশালী মাধেশি জনাধিকার ফোরাম ও রাজতন্ত্রের পক্ষে থাকা আরপিপি দলেরও সমর্থন চেয়েছেন৷ ফলে বাজেট অধিবেশন শুরুর আগেই তীব্র আলোড়িত হিমালয় কন্যা৷
৬০১ আসন বিশিষ্ট নেপালের আইনসভায় কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (ইউএমএল)-র রয়েছেন ১৭৫ জন৷ নেপালি মাওবাদীদের ৮০ জন৷ বাকি ৪৬টি সরকারকে সমর্থনকারী বিভিন্ন দল৷ ফলে মাওবাদীরা সমর্থন তুলে নিলেই সরকারের পতন নিশ্চিত৷ সেক্ষেত্রে প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেসের ১৯৬ জন নির্বাচিত সদস্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে ফের ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন প্রচণ্ড৷
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে রাজতন্ত্র অবসান হওয়ার পর তিনি নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন৷
৪ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই