আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্যানাডার কর্মকর্তারা বলছেন, ফোর্ট ম্যাকমারে শহরে যে দাবানল শুরু হয়েছিল চারদিন আগে তা এখনো আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়নি।
তারা বলছেন, এই দাবানল আগামী ২৪ ঘন্টায় দ্বিগুণ আকার নিতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
এ মুহূর্তে এই দাবানল জ্বলছে নিউইয়র্ক শহরের আয়তন জুড়ে। দমকা বাতাসের বেগে এবং শুকনো ডালপালার কারণে তা আরো বিস্তার লাভ করছে।
শহরের ৮০ হাজারের বেশি মানুষ সবাই শহর ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় সরে গেছে, কিন্তু এই আগুন এখন শহরের সীমানা ছাড়িয়ে বাইরে ধেয়ে যাচ্ছে।
বেশির ভাগ মানুষ দক্ষিণে পালিয়েছেন, যদিও অনেকে উত্তরে গেছেন।
স্থলপথে একটি যানবহর তেলকর্মীদের উত্তরে অস্থায়ী শিবিরে নিয়ে যাচ্ছিল, সেই যাত্রা স্থগিত করতে হয়েছে। কারণ সেখানে আগুনের শিখা রাস্তার ওপর দুশ' ফুট উঁচুতে জ্বলছে।
দক্ষিণগামী দেড় হাজারের মত গাড়িও শুক্রবার মাঝপথে আটকে গেছে। কারণ আগুনের মধ্যদিয়ে চলাচল অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এরই মধ্যে আগুন এক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে জ্বলছে। দাবানল নির্বাপণ ব্যবস্থার প্রধান জানাচ্ছেন, শনিবার এই আগুন দ্বিগুণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে বলে তাদের ধারণা।
তবে তা শহরের উত্তরপূর্বে প্রত্যন্ত জঙ্গল এলাকার দিকে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
আকাশ কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে আছে এবং বাতাসে আগুনের হল্কা এলাকার তাপমাত্রাও বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রচুর উঁচু উঁচু গাছপালাও পুড়ে গেছে।
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আগুনের শিখা যেভাবে চারপাশে শাখার মত শুঁড় ছড়াচ্ছে তাতে মানুষের এর মধ্যে আটকা পড়ে যাবার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
ফোর্ট ম্যাকমারে শহরে কেউ আটকা পড়ে আছেন কীনা- বিশেষ করে গৃহহীন কোনো মানুষ তা কর্তৃপক্ষ খুঁজে দেখছে।
হাজার হাজার মানুষকে বিমানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
সরকারি হিসাবে বিপর্যয় মোকাবেলায় নামানো হয়েছে এক হাজারের বেশি দমকলকর্মী, দেড়শ' হেলিকপ্টার, ২৯৫টির বেশি ভারী যন্ত্রপাতি এবং ২৭টি তেলবাহী বিমান।
এ এলাকায় বিশ্বের তৃতীয় সবচেয়ে বড় তেলের মজুত রয়েছে। -বিবিসি
৭ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম