আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলতি বছরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত এই গ্রামে আত্মহত্যা করেছেন মোট ৮০ জন। কোনও ‘দুষ্ট আত্মা’র কাজ বলেই মনে করছেন গ্রামবাসীরা। হ্যাঁ, কোনও অপদেবতাই ভর করেছে এই গ্রামে। এমনটাই জানালেন, খোদ গ্রামের পঞ্চায়েত রাজেন্দ্র সিসোডিয়া। একরকম দুঃস্বপ্নের মধ্যে দিয়েই দিন কাটাচ্ছে মধ্যপ্রদেশের খারগোন জেলার বড়ি গ্রাম।
গত বছর মোট ৩৮১ টি আত্মহত্যার খবর পাওয়া গিয়েছে এই গ্রাম থেকে। মাস দুয়েক আগে এই গ্রামের পঞ্চায়েত জীবন সিসোডিয়া নিজেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এরপরই তার ভাই রাজেন্দ্র সিসোডিয়া পঞ্চায়েত হয়েছেন। তার মা ও ভাইও আত্মহত্যা করেছেন কিছুদিন আগে। গ্রামে বাস করে মোট ৩২০টি পরিবার। জনসংখ্যা মোট ২৫০০। তার মধ্যে এতগুলি আত্মহত্যার ঘটনা রীতিমত নাড়িয়ে দিয়েছে গ্রামবাসীদের।
পুলিশ সুপার অমিত সিং জানান, ২০১৬ তে এখনও পর্যন্ত ৮০জনের আত্মহত্যা খবর পাওয়া গিয়েছে। সবাই কোনও শয়তান বা অপদেবতাকেই দায়ী করছেন। মনোবিদ ডাঃ শ্রীকান্ত রেড্ডি মনে করছেন, কোনও ডিপ্রেশনের কারণেই এই আত্মহত্যা। মারাত্মক পরিমাণে কীনাশক দেওয়ার ফলে এই ঘটনা বলেও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। যদিও কোনও স্পষ্ট কারণ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ‘আর্থিক কারণ ছাড়াও অনেক কারণ থাকে ডিপ্রেশনের। একসময় চিনের একটি গ্রামে দেখা গিয়েছিল, একটি বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে যা ডিপ্রেশনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর মানুষ বুঝতে না পেরে অপদেবতাকে দায়ী করছেন।
এই কারণ খতিয়ে দেখতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের কাউন্সেলিং প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। ইতিমধ্যেই গ্রামে মদের বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতের বেশ কয়েকটি পিছিয়ে পড়া গ্রামের মধ্যে এটি অন্যতম। এখানে একাধিক কুসংস্কার কাজ করে। -কলকাতা ২৪
৮ মে ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস