আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ছ’মাসের মধ্যে শরীরের মেদ না কমালে, চাকরি না-ও থাকতে পারে! এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এমনই বার্তা পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিমানকর্মীরা।
দু’বছর আগেই পুরুষ এবং মহিলা বিমানকর্মীদের ‘বডি মাস ইন্ডেক্স’ (বিএমআই) নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন’ (ডিজিসিএ)। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, বর্তমানে এয়ার ইন্ডিয়ার অন্তত ১০০ জন বিমানকর্মীর ওজন অত্যন্ত বেশি। আগামী ছ’মাসের মধ্যে তাঁরা যদি বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলতে না পারেন, তবে তাদের সমস্যায় পড়তে হবে বলে সোজাসুজি জানিয়ে দিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।
২০১৪ সালের ৫ মে ডিজিসিএ একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিল, বিমানের ‘ক্রু মেম্বার’দের ওজন বেশি হয়ে গেলে, সাময়িকভাবে তাদের ‘গ্রাউন্ড ডিউটি’তে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। দেড় বছর সেখানেই কাজ করবেন তারা। তার পরেও যদি ওই বিমানকর্মীরা ওজন ঠিকঠাক করতে না পারেন, তবে তাদের বরখাস্ত করা হবে।
সূত্রের খবর, গত বছরই ১২৫ জন ‘ওজনদার’ বিমানকর্মীকে ছাঁটাই করার কথা ভেবেছিল এয়ার ইন্ডিয়া। তবে কর্মীসংখ্যায় ঘাটতির জন্য সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যায়নি।
এখনও অবশ্য কর্মী-ঘাটতি রয়েই গিয়েছে। তা-সত্ত্বেও ডিজিসিএ’র নির্দেশিকার কথা মাথায় রেখে এয়ার ইন্ডিয়া ‘স্থূলকায়’ কর্মীদের চলতি বছরেই ছেঁটে ফেলার ভাবনাচিন্তা করছে। মেদ ঝরানোর সময়সীমা সামান্য শিথিল করার বিষয়ে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন ওই বিমানসংস্থার শীর্ষ আধিকারিকেরা।
সেখানে ছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর অশ্বিনী লোহানি। তবে নির্দিষ্ট সময়ে রোগা হতে না পারলে বিমানকর্মীদের বরখাস্ত করা হবে কি না, সে বিষয়ে তিনি মুখ খুলতে চাননি। এয়ার ইন্ডিয়ার এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের কথায়, ‘‘ডিজিসিএ’র নিয়ম অনুযায়ী, বেশি ওজনের কর্মীদের ছাঁটাই করার অধিকার সংশ্লিষ্ট সংস্থার রয়েছে। এ বিষয়ে কোনও প্রশ্নই উঠতে পারে না।’’
১০ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন