শুক্রবার, ০৮ জুলাই, ২০১৬, ০৩:২২:২৪

জঙ্গি মুসার ২ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ, বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য

জঙ্গি মুসার ২ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ, বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে গ্রেপ্তার ইমলামিক স্টেট বা আইএস নেতা মুহাম্মদ মসীউদ্দিন ওরফে মুসার একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। এসব তথ্য খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা!

মুছার দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু করলেন গোয়েন্দারা। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করতে চলেছেন গোয়েন্দারা। কর্নাটকের দুটি ব্যাংকের মুসার অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।

গত সোমবার পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান রেলস্টেশন থেকে আটক করা সন্দেহভাজন মুসাকে। পরের দিন তাকে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলছে, দফায় দফায় জেরা করে তাঁর সঙ্গে আইএসএর যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে।

মুসাকে জেরা করে পুলিশ আরও ১২ জন অনুসরণকারীর নাম পায়। তাদের মধ্যে দুজনকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আইএস সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া মুসার বাড়ি বীরভূম জেলার লাভপুরের বিডিও পাড়ায়। আট বছর আগে তিনি পরিবার নিয়ে ভারতের চেন্নাইয়ের আন্দিপলামায় চলে যান। সেখানে একটি মুদি দোকান খোলেন। পাশাপাশি জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। কয়েক বছর ধরে গ্রামের বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন না মুসা।

গণমাধ্যম সূত্রে আরও জানা গেছে, সোমবার মুসা চেন্নাই থেকে ট্রেনে করে হাওড়ায় আসেন। সেখান থেকে ধর্মতলায় এসে ধারালো অস্ত্র কিনে তিনি নিজের গ্রামের বাড়ি লাভপুরে যাচ্ছিলেন। মুসার পিছু নেন গোয়েন্দারা। মুসা ধরা পড়েন বর্ধমান রেলস্টেশনে। বর্ধমানের পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল তাঁকে আটক করেন। তাঁর কাছ থেকে ১৩ ইঞ্চি লম্বা একটি ছুরি, তিনটি গুলি ও একটি দেশি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার দেখানোর পরে মুসাকে সিআইডির সদর দপ্তর কলকাতার ভবানী ভবনে নেওয়া হয়। সেখানে সিআইডি, এনআইএ ও আইবির গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাঁকে জেরা করেন।

পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, গোয়েন্দারা মুসাকে জেরা করে জানতে পেরেছে, তাঁর সঙ্গে আইএসের যোগাযোগ রয়েছে। সিরিয়ার আইএসের শীর্ষ নেতা শফি আরমানের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ ছিল। যোগাযোগ ছিল বাংলাদেশের জঙ্গিদের সঙ্গে।

মুসার স্ত্রী চেন্নাইতে আছেন। বর্ধমানের খাগড়াগড়-কাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর উঠে এসেছিল মুসার নাম। পরে ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার গোয়েন্দারা মুসাকে জেরা করে তাঁর সঙ্গে আইএসএর জড়িত থাকার প্রমাণ পায়।
০৮ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে