আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শাশুড়ি-বউয়ের ঝগড়া খুবই স্বাভাবিক। অনেক পরিবারেই এমন ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু এবার ঘটেছে ব্যতিক্রমী ঘটনা।
রোববার ভারতের আগ্রা পুলিশের কাছে অভিযোগ নিয়ে এসেছে এক রুশ রমণী। ওলগা এফিমেনকোভা নামের ওই রুশ নারী অভিযোগ করেছেন, তার শাশুড়ি নাকি যৌতুক চেয়ে তাকে নির্যাতন করেছে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে তিনি গতকাল থেকে অনশন ধর্মঘট শুরু করেছেন।
এ সমস্যায় পুলিশ সাধারণত মাথা ঘামায় না। কিন্তু পুলিশ যখন দেখলো, স্বয়ং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ টুইটারে ওই রমণীর একটি ছবি নিয়ে পোস্ট করেছেন এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদভকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘এই নারীকে সাহায্য করুন’- তখন আর চুপ করে বসে থাকা যায় না।
বিষয়টি একটু অদ্ভুত। কারণ রুশ নারী ওলগা ভারতের আগ্রায় কি করছেন এবং তিনি যৌতুকের মামলাই বা করবেন কেন?
ওলগা ২০১১ সালে আগ্রার বাসিন্দা ভিক্রান্ত সিং চণ্ডালকে বিয়ে করেন। তাদের দাশাহা নামের ৩ বছরের এক মেয়েও রয়েছে।
ভিক্রান্ত সিং গোয়াতে একটি রেস্তোরাঁ চালাতেন এবং সংসার নিয়ে থাকতেন। এ পর্যন্ত সব ঠিকই আছে, কিন্তু সম্প্রতি ভিক্রান্ত সিংয়ের ব্যবসা খারাপ বলে তারা ৩ জনে বাপেরবাড়ি আগ্রায় চলে আসেন গত মাসে। এরপরই শুরু হয় শাশুড়ি-বউয়ের কলহ।
ওলগা অভিযোগ করেন, আমি বিদেশি হওয়ায় এবং যৌতুক চেয়ে আমার শাশুড়িমা আমাকে মানসিক নির্যাতন করেছেন।
তিনি আমাকে এবং আমার ৩ বছরের মেয়েকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। পুলিশকে বিষয়টি বোঝাতে তার কোনো সমস্যা হয়নি। কারণ তিনি স্পষ্ট হিন্দি ভাষায় কথা বলেন।
ওলগার স্বামী ভিক্রান্ত সিং পুলিশকে বলেছেন, এসব ছাড়াও তার মা নাকি তার ভাগের সম্পত্তি নয়া দিল্লিতে বসবাসরত তার বড় বোন সুমাইয়া পালকে দিয়ে দিয়েছেন।
১১ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম