আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তীব্র খাদ্য সংকটের পর ভেনিজুয়েলা প্রতিবেশী কলম্বিয়ার সাথে তাদের সীমান্ত খুলে দেয়ায় সেখানে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছে। ভেনিজুয়েলা সরকার তাদের দেশের নাগরিকদের সেখান থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ কেনার অনুমতি দিয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষ সেখান থেকে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারছেন। চলতি বছরের মধ্যে এই প্রথম এই সীমানা খুলে দেয়া হল।
এর আগে আগস্টে ভেনিজুয়েলা-কলম্বিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন অপরাধ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় এ পথ বন্ধ করে রাখা হয়। বিশেষ করে জ্বালানি তেল ও খাবারের বিপুল চোরাচালান ঠেকাতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে রাতের আঁধারে ভেনিজুয়েলায় উত্পাদিত বিপুল পরিমাণ পণ্য সেখানে পাচার হয়ে যায়। পরে এক শ্রেণির মুনাফাখোর তা চড়া দামে বিক্রি করে। ফলশ্রুতিতে দেশটিতে দেখা যায় খাদ্য সংকট। কিন্তু বর্তমানে সেখানে খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করায় সরকার আবার এই পথ খুলে দেয়। চরম অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে সাময়িক সমাধান হিসাবে এ পথ বেছে নিলো দেশটি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভেনিজুয়েলায় এ সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ‘খাদ্য চাই’-শ্লোগান দিয়ে তারা রাজপথ প্রকম্পিত করে। খাদ্যের জন্য বিভিন্ন স্থানে লুটপাটও হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি কোনক্রমেই শান্ত হচ্ছে না। গত সপ্তাহে কয়েকশ’ নারী খাদ্যের জন্য সীমান্ত বেড়া ভেঙ্গে ফেলে। তারা বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্যদের বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের হাতে আর কোন উপায় নেই। সেসময়ে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছিলেন, সীমান্ত সবসময় বন্ধ থাকবে। কেননা এর মাধ্যমে চোরাকারবারিরা নির্বিঘ্নে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাবে। এছাড়া কলম্বিয়ার অনেক প্যারা মিলিটারি বাহিনীরও এর মাধ্যমে অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।
স্যান অ্যান্টনিও সীমান্ত থেকে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি লোক সীমানা পার হয়ে সেখানে গেছে। কলম্বিয়ার সুপার মার্কেটগুলোতে মানুষের তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। বিশেষ করে তেল, আটা, ময়দা, চিনির বেশি চাহিদা ছিল। কেননা খাদ্য সংকটের কারণে এগুলো নিজ দেশে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হতো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সীমান্ত পার হয়ে যাওয়া এক নারী জানান, তিনি তার দুই সন্তানকে নিয়ে সেখানে গেছেন। দেশের এ অবস্থায় সীমান্ত বন্ধ করে রাখার আমি কোন ভিত্তি পাই না-বিবিসি
১২জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ