আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রেক্সিটের পরেই প্রকাশ্যে পদত্যাগের ঘোষণা করেছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। কিন্তু এজন্যে আরও কিছু মাস সময় চেয়ে নিয়ে ছিলেন। কিন্তু রাতারাতি সেই সিদ্ধান্ত বদল! আগামী কাল বুধবারই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন ক্যামেরন।
আর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরিজা মে-ই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে চলেছেন। মার্গারেট থ্যাচারের পর টেরিজাই প্রথম মহিলা, যিনি এই পদের দায়িত্ব নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে আন্দ্রিয়া লিডসম সোমবার হঠাৎ করেই সরে দাঁড়ানোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ সুগম হয় টেরিজা মে’র।
দু’দিন আগেই প্রতিদ্বন্দ্বীর সন্তানহীনতাকে নিজের ‘ইউএসপি’ বানাতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য নিজের ‘যোগ্যতা’ প্রমাণ করতে গিয়ে আন্দ্রিয়া লিডসম বলেছিলেন, ‘‘এই পদের জন্য আমিই উপযুক্ত। কারণ আমি এক জন মা। থেরেসা মা নন, ওর কোনও সন্তান নেই। তাই দেশ চালানোর জন্য যে যোগ্যতাটা লাগে, সেটা আমার থেকে কিছুটা হলেও ওর কম।’’
খবরের কাগজকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারের পরে বিতর্ক ছড়াতে সময় লাগেনি। তিন দিনও কাটল না। এর মধ্যেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীর জন্য রাস্তা ছেড়ে দিলেন আন্দ্রিয়া। আজই জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড় থেকে নিজের নাম তুলে নিচ্ছেন তিনি। সেই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্যই এই সিদ্ধান্ত কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি আন্দ্রিয়া। শুধু বলেছেন, ‘‘একটা শক্তিশালী ও স্থিতিশীল সরকার পরিচালনার গুরুভার আমি নিতে পারবো না বলেই মনে হয়। অত সমর্থনই আমার নেই।’’
১১ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস