আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাজধানী ঢাকার গুলশানে হামলার দায়ে অভিযুক্ত জঙ্গিদের দুজন তার ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়েছিল এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর নানা ঝামেলার মাঝে পড়েছেন ডা. জাকির নায়েক।
এরপর ভারতে ফেরার তারিখ পিছিয়েছেন মুম্বাইয়ের এই ধর্ম–প্রচারক। এ বছর তিনি দেশে ফিরছেন না। এ খবরও দিলেন তিনি। স্থানীয় গণমাধ্যম আজকাল এ খবর দিয়েছে।
আজ তার অবস্থান পরিষ্কার করতে মদিনা থেকে স্কাইপের মারফতে সাংবাদিকের মুখোমুখি হন বছর ৫১-এর এই ধর্মীয় নেতা। তিনি দাবি করেন, তিনি শান্তির দূত। পিস টিভি-র মাধ্যমে নিয়মিত ইসলামের ভাবাদর্শ প্রচার করেন।
মুসলিম যুব সম্প্রদায়ের অনেকেই তাতে আকৃষ্ট। যদিও ইমাম, মৌলবিদের অনেকে তাকে গণ্যই করেন না।
ভারতে সদ্য তার সমালোচনা করেছেন দেওবন্দের দারু-উল-উলুম। ইংরেজিতে ছাড়া ভাষণ দেন না জাকির। এ বিষয়টিও পছন্দ নয় তাদের।
তার ভাষণের বিষয়ে নিয়ে নানা বিভ্রান্তি আছে।
জাকির নায়েক আজ বোঝাতে চাইলেন, তার নামে নেতিবাচক যা যা শোনা যাচ্ছে, তার জন্য সংবাদ মাধ্যমই দায়ী। তারাই যত মিথ্যে রটাচ্ছে।
পাশাপাশি সরকারকেও একহাত নিয়েছেন তিনি। ২০০৮-এ তার ‘পিস টিভি’ ডাউনলিঙ্ক করার অনুমতি দেয়নি তথ্য ও সম্প্রচার।
জাকির নায়েকের অভিযোগ, তার চ্যানেল শুধু মুসলিমদের জন্য বলেই নাকি সরকারের এহেন আচরণ!
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রথমেই ফ্রান্সের নিসের জঙ্গিহানার নিন্দা করেন তিনি। বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটানো অর্থহীন। তারপরেই বলেন, ঢাকার জঙ্গি হানায় তার পরোক্ষ ভূমিকা নেই কোনোভাবেও।
তিনি বলেন, যে সংবাদপত্রটি তাকে জঙ্গিদের প্ররোচনা দেয়ার জন্য প্রথমে দুষেছিল, তারাই নাকি পরে নিজেদের সংশোধন করে নিয়েছে।
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অভিযোগ, তিনি আত্মঘাতী বিস্ফোরণের হয়ে সওয়াল করেন। আজ তা খণ্ডন করে তিনি জানান, ওই ধরনের ঘটনা ইসলামবিরোধী। একমাত্র আল কোরআনই বলে, একজন নিরপরাধের হত্যা মানে মানবতার হত্যা।
ভারতে ফিরলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হতে পারে। সমন পাঠাতে পারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এনআইএ। সেই খবরের প্রেক্ষিতে জাকির নায়েকের জবাব, এ পর্যন্ত সরকারের কোনো প্রতিনিধি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে কারো যদি কোনো জিজ্ঞাসা থাকে, তিনি অবশ্যই জবাব দেবেন। পুরোপুরি সহযোগিতা করবেন।
১৫ জুলাই ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম