আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কে সামরিক বাহিনীর একটি অংশের অভুত্থান প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা। প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা এমআইটি’র বরাত দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, সামরিক বাহিনীর একটি গ্রুপ ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলেও তা প্রতিহত করা হয়েছে।
তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের ফলে দেশটি এখনো ধোয়াশাচ্ছন্ন এবং বিস্তারিত জানা যায়নি। সেখানে সংবাদমাধ্যম গুলো প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে তুরস্ক সরকার ও সেনা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম দাবি করছে।
তবে সেনা কর্তৃপক্ষ ইমেইলের মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছে যে তারা ক্ষমতা নিয়েছে এবং বেশ কয়েকজন নেতাকে বন্দী করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয় দেশের গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ক্ষমতা নেয়া হয়েছে এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো হবে।
প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, “এটিকে অভ্যুত্থান বলা ভুল হবে”। তিনি বলেন সেনা বাহিনীর চেইন অব কমান্ডের বাইরে গিয়ে একটি অংশ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টা চালায়।
টিভি চ্যানেল এনটিভিতে ইলদিরিম বলেন জনগনের দ্বারা নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকবে। যখন জনগন চাইবে না তখনই তারা ক্ষমতা ছাড়বে।
এদিকে, সেনা সদরদপ্তরে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন তুর্কি সেনাপ্রধান। দেশটির প্রেসিডেন্টের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, যারা ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দিয়েছে তারা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এমন কোনো বিবৃতি দেয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত নয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, টেলিভিশনে ঘোষণায় সেনাবাহিনীর ওই অংশটি বলেছে, এই সরকার তুরস্কের গণতান্ত্রিক ও সেক্যুলার শাসন ব্যবস্থা মুছে ফেলেছে। দেশ এখন একটি ‘পিস কাউন্সিল’ এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এই কাউন্সিল সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। যতো দ্রুত সম্ভব একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হবে বলেও ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়।
এদিকে একটি টেলিভিশন ঘোষণায় তুরস্কের সেনাবাহিনীর একটি অংশ দাবি করেছে, তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ইস্তানবুলের সঙ্গে দেশের অন্য অংশের ব্রিজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং আঙ্কারার উপর নিচু দিয়ে বিমান উড়ছে।
১৬ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস