আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান রাজধানী আঙ্কারার উপকণ্ঠে সাড়ে ৬১ কোটি ডলার (যা ১ ডলার সমান ৭৮.৬৭ টাকা হারে বাংলাদেশের টাকার পরিমান হয় ৪৮৩৭ কোটি ৯৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৫৩ টাকা) সমপরিমাণ অর্থ ব্যয়ে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ নির্মাণ করেছেন। ১১৫০ কক্ষের এ ‘শ্বেত প্রাসাদ’ নির্মাণে অর্থ ব্যয়ের বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করা হয় নি। আতাতুর্ক ফরেস্ট ফার্ম’-এর পরিবেশ সংরক্ষিত অঞ্চলের তিন লাখ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে নির্মিত হয়েছে ‘শ্বেত প্রাসাদ।’
প্রথমে এটি তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর দফতর হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর তিনি একে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে ঘোষণা করেন।
আমেরিকার হোয়াইট হাউজের মতো তুর্কি এ প্রাসাদেও জরুরি অবস্থায় বৈঠক করার জন্য সিচুয়েশন রুম বা জরুরি কক্ষ আছে। এ ছাড়া, জৈব-রাসায়নিক এবং পরমাণু হামলা মোকাবেলায় সক্ষম বাঙ্কারও আছে এতে।
প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে দ্বিগুণ অর্থ খরচে নির্মিত এ প্রাসাদ তুরস্কের আন্তর্জাতিক ভাব-মর্যাদা বাড়িয়ে তুলেছে বলে দাবি করেছেন এরদোগান। অবশ্য সমালোচকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেন, এরদোগানের সীমাহীন বিলাসী জীবন-যাপনের বাহার দেখে হয়ত লজ্জায় লাল হয়ে যেতেন ভোগ- বিলাসী জীবনের আরেক প্রতিভূ ইরাকের সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দাম।-প্যারিস টুডে
১৯ জুলাই, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই