ঋদ্ধিমা : ছোট্টবেলা থেকেই ভাবতাম অভিনয় করব। টিভির পর্দায় যখন মাধুরী দীক্ষিতকে দেখতাম, মনে হত, ইস্ আমিও যদি এরকম অভিনয় করতে পারতাম। বিশ্বাস করুন, কোনওদিন আমি চাইনি যে, আমি স্কুল টিচার হব বা এয়ার হোস্টেস হব। বলতাম, অভিনয় করব। তখন আমার বাবা–মা ভাবতেন, এ সব আমি নেহাতই খেয়ালের বশে বলছি। কিন্তু সেটাই যে সত্যি হয়ে যাবে, তা বোধহয় কেউই ভাবতে পারেননি।
আর ভাবতে পারেননি বলেই কোনওদিনই আমার খাওয়া-দাওয়ায় কোনও বিধিনিষেধ ছিল না। সবথেকে বড় কথা, আমি খু-উ-ব খেতে ভালবাসি। খাওয়া মানে সব কিছু খাওয়া। বেছে বেছে নয়। আসলে ডায়েট জিনিসটায় আমার মোটে বিশ্বাস নেই। আমি মনে করি, খাবার কতটা খাব সে ব্যাপারটায় যদি সচেতনতা থাকে, তা হলেই যথেষ্ট। খাওয়ার একটা পরিমাণ থাকা খুব দরকার। অনেকেই দেখি বলেন, না বাবা, আমি কার্বোহাইড্রেট খাই না, কেউ বলেন ফ্যাট জাতীয় খাবার খাই না, কেউ বলেন প্রোটিন খাই না…।
এ সবের খুব একটা দরকার আছে বলে আমার অন্তত মনে হয় না। আমি তো ভাত অার রুটি ছাড়া একদিনও চলতে পারি না। ভাত না খেলে মনে হয় সারা দিন বোধহয় কিছুই খাওয়া হয়নি। এমনকি রাতেও আমি ভাতের পক্ষপাতী। সকালের দিকে বাড়ি থাকলে ফ্রেঞ্চ টোস্ট বা প্যানকেক জাতীয় অল্প কিছু খাই। আর শুটিংয়ে গেলে ডিমসেদ্ধ, টোস্ট, একটা ফল ইত্যাদি। তা ছাড়া মাছ, মাংস, ডিম— তিনটেই খাই। তবে আমি মিষ্টি খেতে খুব ভালবাসি। এ ব্যাপারে আমি একদম নিজেকে ধরে রাখতে পারি না।
আমি নিজে বাড়িতে কেক, কুকিজ ইত্যাদি তৈরি করতেও ভালবাসি। তাই প্রায় প্রত্যেক দিনই ওই সব খাবার চলে। আসলে, শরীরকে ঠিক রাখার জন্য প্রতিটি উপাদানেরই প্রয়োজন আছে। এখন তো একটা ধারাবাহিকের কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত অাছি যে, জিমেও যেতে পারি না। বাড়িতেই ফ্রি–হ্যান্ড করি। ব্যায়ামটা দরকার রোগা থাকার জন্য নয়, ফিট থাকার জন্য।
স্কিন ভাল রাখার জন্য আমি ঠিকঠাক মেক–আপ তোলাটাকে খুব বেশি প্রাধান্য দিই। আর নিয়ম করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করি। ময়েশ্চারাইজারটা কিন্তু সব স্কিনের জন্যই দরকার। এটা অনেকেই বোঝেন না। আর অন্তত সপ্তাহে একদিন চুলে ভাল করে অয়েল ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু করি। এ ছাড়া আর কিছু শরীরের জন্য সত্যিই আমি করি না। আর করার পক্ষপাতীও নই।
১১ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি