বিনোদন ডেস্ক: পায়েল দে মানেই সতী-সাধ্বী ‘বেহুলা’, জীবনযুদ্ধে হার না মানা ‘আলো’ অথবা জগৎজননী ‘মা দুর্গা’। এতদিনের ইমেজ ভেঙে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন মেজাজের চরিত্রে ধরা দিতে চলেছেন পায়েল। এবার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং ধারাবাহিক নিয়ে আসছেন তিনি।
‘মা দুর্গা’ ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পরে বেশ কয়েক মাস ব্রেক নিয়েছেন জনপ্রিয় টেলি-তারকা পায়েল দে। তাঁর অনুগামীরা অনেকেই হয়তো ভাবছিলেন, এবার কি তবে লম্বা একটা বিরতি নেবেন পায়েল? কিন্তু না, আগামী মাসেই আবার টেলি-পর্দায় ফিরছেন পায়েল এবং তাঁর টেলি-অভিনয় কেরিয়ারের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। সংক্ষিপ্ত দূরভাষ কথোপকথনে জানালেন অভিনেত্রী, ‘আমার চরিত্রের নাম সুপ্রিয়া। সে একজন মেন্টাল পেশেন্ট, সিজোফ্রেনিক বলা যায়। স্বামীকে প্রচণ্ড ভালবাসে কিন্তু এতটাই অবসেসড যে সেটা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এই চরিত্রটি কাউকে বিশ্বাস করে না, স্বামীর আশেপাশে কাউকে সহ্য করতে পারে না, এমনকী তার মা বা বোন কাউকেই নয়। অথচ সে কিন্তু একজন মা, তার দু’টি সন্তান রয়েছে।’
পায়েল জানালেন যে সাম্প্রতিক কালে বাংলা টেলিভিশনে এমন কোনও চরিত্র আসেনি। নতুন এই ধারাবাহিকের নাম ‘তবু মনে রেখো’। শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস প্রযোজিত এই ধারাবাহিকটি আগামী ৬ মার্চ থেকে সম্প্রচারিত হবে সন্ধে সাতটায় ‘জি বাংলা’ চ্যানেলে। পায়েলের বিপরীতে তাঁর স্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন ফারহান ইমরোজ। ফারহান এর আগে কাজ করেছেন ‘কিরণমালা’-তে। তবে ধারাবাহিকটি শুধুমাত্র এক মানসিক রোগগ্রস্ত মহিলা ও তাঁর স্বামীর গল্প নয়। রয়েছেন আর এক নায়িকা বা ‘দি আদার উওম্যান’। এই চরিত্রে অভিনয় করবেন ‘এসো মা লক্ষ্মী’ অভিনেত্রী প্রত্যুষা পাল। তার মানে কি ত্রিকোণ সম্পর্ক?
পায়েল বললেন, ‘আসলে সাহানাদি খুব সুন্দর করে গল্পটা ভেবেছেন। স্টোরিলাইনটা খুব ইন্টারেস্টিং। দিনের পর দিন যদি কোনও স্বামীকে এমন একজন স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হয় তবে সেটা খুবই দুর্বিষহ ব্যাপার। সেখানে অন্য একটি নারী চরিত্রের আসাটা খুব স্বাভাবিক কিন্তু ত্রিকোণ সম্পর্ক কি না, সেটা এখন বলা যাবে না। ধারাবাহিকের গল্পটা মূলত এই তিনটি চরিত্রকে নিয়েই।’ কিন্তু এমন একটি ‘অস্বাভাবিক’ চরিত্রে অভিনয় করতে পায়েল রাজি হলেন কেন? টেলিভিশন কেরিয়ারের ক্ষেত্রে খুবই ঝুঁকি নয় কি সেটা? দর্শক এতদিন পায়েলকে অত্যন্ত পজিটিভ চরিত্রে দেখে এসেছেন। কখনও তিনি সতী-সাধ্বী ‘বেহুলা’ তো কখনও জীবনযুদ্ধে হার না মানা ‘আলো’। তাছাড়া ‘মা দুর্গা’-র ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছেন, তাঁকেই এমন একটা চরিত্রে দেখতে পছন্দ করবেন তো দর্শক?
পায়েল বললেন, ‘আসলে রিস্কটা নিয়েই ফেললাম। প্রথম যখন এই চরিত্রের অফারটি আসে আমি শুনেই না করে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে আমাদের ক্রিয়েটিভ রাইটার সাহানাদি আমাকে বললেন যে চরিত্রটা একেবারেই আমাকে ভেবেই লেখা। আমারও পরে মনে হল যে এটা একটা চ্যালেঞ্জিং চরিত্র ঠিকই কিন্তু একটা বিরাট সুযোগ। গল্পটাও একেবারেই ঠিক শাশুড়ি-বউ ধাঁচের নয়। আসলে আমরা তো চাই নানা ধরনের চরিত্র করতে আর এই প্রথম আমি একজন অ্যান্টাগনিস্টের ভূমিকায়। মানে কমপ্লিটলি ১৮০ ডিগ্রি টার্ন বলা যায়। তাই আমার কাছে এই প্রজেক্টটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
পায়েল এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের সবচেয়ে শক্তিশালী অভিনেত্রীদের একজন। নতুন ভূমিকাতেও যে তাঁর পারফরম্যান্স অসাধারণ হবে, সেটা ধারাবাহিকের প্রোমো দেখলেই বোঝা যায়—এবেলা
২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/আ শি/এএস