বিনোদন ডেস্ক: জেলবন্দি তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাপস পালের বিরুদ্ধে রোজভ্যালি মামলায় ভুবনেশ্বরের খুর্দা আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার ওই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী অফিসার এবং সিবিআইয়ের আইনজীবী। দুই সাংসদ ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে রোজভ্যালি-কর্তা গৌতম কুণ্ডুর।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদীপ-তাপসের বিরুদ্ধে দুর্নীতিদমন-সহ মোট তিনটি আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, রোজভ্যালি সংস্থা থেকে আর্থিকভাবে উপকৃত হয়েছিলেন ওই দুই সাংসদ। সংস্থার হয়ে সুপারিশের চিঠিও লিখেছিলেন তাঁরা। এক সিবিআই আধিকারিক জানিয়েছেন, সাংসদ থাকাকালীনই এই সমস্ত কাজ তাঁরা করেছিলেন। সেই কারণে দু’জনের বিরুদ্ধেই দুর্নীতিদমন আইন প্রয়োগ করা হয়েছে।
অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে চলা তদন্তে এই প্রথম ওই আইন প্রয়োগ করা হল বলে জানিয়েছেন তিনি। অপরাধ প্রমাণিত হলে দুর্নীতি দমন আইনের বিভিন্ন ধারায় সুদীপ-তাপসের চার থেকে ১০ বছরের সাজা হতে পারে।
এছাড়া দুই সাংসদের বিরুদ্ধে যে ধারাগুলি প্রয়োগ করা হয়েছে সেগুলি হল— অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ (জামিন অযোগ্য) এবং সম্পত্তি হস্তান্তরে দুর্নীতির অভিযোগ। অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সম্পত্তি হস্তান্তরে প্রতারণার যে ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে তাতে সর্বাধিক সাত বছরের কারাদণ্ডের সংস্থান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেই রোজভ্যালি মামলায় ১৯৭৮ সালের ‘প্রাইজ চিটিং অ্যান্ড মানি সার্কুলেশন স্কিমস ব্যানিং অ্যাক্টে’ মামলা রুজু করেছে সিবিআই। ওই আইনে অভিযুক্তেরা দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের এক বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বাধিক এক হাজার টাকা জরিমানা অথবা দু’টিই ধার্য করা হতে পারে।
২৮ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এইচএস/কেএস