শুক্রবার, ০৫ মে, ২০১৭, ১১:৫৫:৪৩

ঢাকাই সিনেমার সুদিন ফিরবে কি?

ঢাকাই সিনেমার সুদিন ফিরবে কি?

বিনোদন ডেস্ক : এফডিসির ভেতরে ভোটারদের প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যেই ভোট চাইছিলেন ওমর সানি, ফেরদৌস ও মৌসুমির মতো তারকা। তার একটু দুরেই চেয়ারে বসেই ভোট চাইছিলেন বাংলাদেশের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা অঞ্জনা। তার মতোই শাবানা, কবরী, ববিতা, সুচরিতাও ছিলেন তাদের সময়ে বেশ জনপ্রিয় নায়িকা।

আবার এখন যেমন শাকিব খান কিংবা অনন্ত জলিলসহ কয়েকজন জনপ্রিয় নায়ক রয়েছেন তেমনি একসময় পর্দা মাতিয়েছেন রাজ্জাক, আলমগীর, ফারুক, সোহেল রানার মতো নায়কেরা। কিন্তু এখনকার শিল্পীদের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

কিন্তু আসলেই কি এখনকার শিল্পীদের অভিনয় দক্ষতার মান নিচের দিকে? জবাবে অঞ্জনা বলেন, "এখনকার শিল্পীদের মেধার অভাব নেই। প্রধান সমস্যা হলো অর্থনৈতিক আর মেধাসম্পন্ন পরিচালকের অভাব। এখন যে টেলিফিল্ম কোনটা, কোনটা নাটক সেটাই তো দর্শক বুঝতে পারছেনা। এ কারণেই সমস্যা হয়েছে"।

নতুন প্রজন্মের নায়িকাদের একজন শিরীন শিলাও মনে করেন নতুনদের অনেকেই কঠোর পরিশ্রম করেন কিন্তু তাদের ঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়না। তিনি বলেন, "পরিচালক কাজ আদায় করতে পারলে করবোনা কেন। একবার না পারলে আবার কাজ করবো। পুরোটাই পরিচালকের ওপর"।

আবার প্রযোজক-অভিনেতা ও পরিচালক নাদের খান, যিনি সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন, তিনি বলছেন লাগামহীন অশ্লীল সিনেমার যে জোয়ার বইছিলো একদশক আগে সেটিই দর্শকের সাথে সিনেমার বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, " কোন ইন্সটিটিউট নেই। শুটিং করবে শিল্পীরা কিন্তু টেকনিশিয়ান নাই। হলগুলো এবং সিনেমা নোংরা হয়ে গেছে বলেই মা বোনেরা হল ছেড়েছে"।

তবে নির্বাচনের সভাপতি প্রার্থীদের একজন ওমর সানি বলেন, শিল্পীদের দক্ষতা কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে পদক্ষেপ নেবেন তারা। তবে এজন্য চলচ্চিত্রের সব পক্ষকেই একযোগে কাজ করতে হবে। এর সাথে একমত পরিচালক গুলজার হোসেনও।

গুলজার বলেন, " নানা কারণে ভালো প্রযোজকরা হারিয়ে গেছে। এখন সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা এটা নিয়ে বসবো। প্রয়োজনে শিল্পীরা ছাড় দেবেন। ভালো ছবি বানানোর জন্য প্রযোজকদের আহবান করবো এবং চলমান সংকটের অবসান ঘটাবো ইনশাল্লাহ"।

কিন্তু সব পক্ষ এক হলেও চলচ্চিত্রের সার্বিক সংকটগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে না পারলে সামনে আরও সংকট আসবে বলে মনে করেন প্রায় দু'দশক ধরে বিনোদন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, "ভারতীয় ছবির নকল করে সিনেমা বানানোর কারণে সামঞ্জস্য থাকেনা। লোকেশনে কোন বৈচিত্র্য নেই। একই জায়গায় অল্প বাজেটে ছবি করে। রাজ্জাক, আলমগীর, সোহেল রানা, ববিতা, শাবানারা কাজের প্রতি দায়িত্বশীল ছিলেন। আর এখন একটি ছবি হিট হলেই তারা আর কিছু মানতে চান না। ন'টায় শিডিউল থাকলে আসেন আড়াইটায়"।

এখন দেখার বিষয় এসব সংকট উত্তরণ করে ভালো সিনেমা তৈরি করে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে আবারো জমজমাট করে তুলতে কি ভূমিকা রাখতে পারে নবীন প্রবীণ শিল্পী ও কলা কুশলীদের পদচারনায় মুখরিত আজকের নির্বাচনের মাধ্যমে বের হয়ে আসা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন নেতৃত্ব। বিবিসি

৫ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে