বিনোদন ডেস্ক: সত্তর আর আশির দশকে বলিউডের পর্দা কাঁপানো নায়িকা ছিলেন তিনি। ভারতীয় নায়িকাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ আবেদনময়ী তালিকায় গোণা হয় তাকে। বলিউডের ‘সত্যিকারের সুপারস্টার’ রাজশ খান্নার সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন রোটি, সাচ্চা ঝুটা, আপকি কাসাম, আপনা দেশসহ ১০টি আলোচিত ছবিতে।
গোরে রাং পে না ইতনা গুমান কার, আজকাল তেরে মেরে পেয়ারকে চার্চে, জায় জায় শিবশঙ্কর, বিন্দিয়া চামকেগি- প্রভৃতি গানের সঙ্গে পারফর্মে গ্ল্যামারাস নৃত্যকুশলতায় দর্শক মাতাল করা মুমতাজ এখন কেমন আছেন? কোথায় আছেন? এসব প্রশ্নের কিছুটা জবাব ওপরের প্রথম ছবিতে মিলবে। লন্ডনের রাজপথে হঠাৎ সামনে পড়ে যাওয়া আলোকচিত্রির ক্যামেরায় এভাবেই ধরা পড়েন তিনি।
ইংল্যান্ডে ক্যাজুয়াল শীত পোশাকে এবং বুড়ো হয়ে যাওয়া বর্তমানের ব্রিটিশ নাগরিক মুমতাজকে চিনতে বেশ কষ্টই হয়। সেই চোখ ধাঁধানো রূপ-যৌবনের ছটা হারিয়ে গেছে কোন সে কবে। তবে তিনি সেখানে আছেন তার ইচ্ছাতেই। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিয়ের পর শোবিজের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না। সে মোতাবেক তিনি লন্ডনে সেটলড হন।
অনেকেই হয়তো জানেন না মুমতাজের বড় মেয়ে নাতাশা মাধভানি বলিউড নায়ক ফারদিন খানের স্ত্রী। একসময়ের ড্যাশিং হিরো ফিরোজ খানের ছেলে ফারদিন ও মুমতাজের মেয়ে নাতাশার ঘরে তিন বছরের এক কন্যা রয়েছে। ফিরোজ খানের সঙ্গেও মুমতাজের ছবি আছে।
১৯৭৪ সালে ব্যবসায়ী ময়ূর মাধবানীকে বিয়ে করেন। এরপর ১৯৭৭ সালে আয়না সিনেমায় কাজ করার পর চলচ্চিত্র জগৎকে বিদায় জানান। তবে ১৩ বছর পর ১৯৯০ সালে আঁধিয়া ছবি দিয়ে ফিরে আসেন বলিউডে। কিন্তু এরপর আর ফিল্মমুখো হননি।
১৯৭০ সালে খিলোনা ছবিতে আবেগঘন বাস্তবধর্মী অভিনয়ের স্বীকৃতি পান, ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জয় করেন। প্রথমদিকে অবশ্য তিনি ধূমধারাক্কা অ্যাকশন ছবির সস্তাদরের নায়িকা ছিলেন। পরে রাজেশ খান্নার সঙ্গে জুটি তাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। -টাইমস অব ইন্ডিয়া, উইকিপিডিয়া
এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস