বিনোদন ডেস্ক : বরিশালের একটি দুর্গম গ্রাম। যেখানে প্রতিদিন সকালে কয়েক ঘণ্টা হেঁটে যেতে হয়। সকালে উঠেই আমরা হাঁটা শুরু করতাম। তারপর পৌঁছতাম শুটিং স্পটে। একটা কবিতা নিয়ে এতো এতো এক্সপেরিমেন্টাল একটি শর্টফিল্ম হবে তা ভাবিনি। তবে যখন মনে হলো গল্পটাকে জীবন্ত করে তুলতে হলে আমাদের কষ্ট স্বীকার করতে হবে তখন আমি সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি।
বলছিলেন উঠতি অভিনেত্রী নুসরাত জাহান জেরি। বলছিলেন সম্প্রতি শুটিং শেষ করা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'জল ও পানি'তে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে। হারাণপুর গ্রামের গল্প এটি। ছোট্ট শিশুর মুখে সে গ্রামের বর্ণনায় উঠে আসে দুই ধর্মের দুই নর-নারীর প্রণয় ও পরিণতির গল্প। কবি মাসুদ পথিকের ‘জল ও পানি’ থেকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন সোহেল রানা বয়াতি।
জেরি বলেন, একটা বিশাল বিল। সেটাকে আসলে বিল বললেও ভুল হবে। কাঁদাপানির একটা বিল। কচুরিপানা দিয়ে ভর্তি। ফুটে আছে শাপলা শালুক। এরই মাঝখানে হবে শুটিং। নৌকার মাঝে আমার আর বাপ্পীর শট। আমি নৌকায় শুয়ে আছি। এই জল-জংলার মাঝে কাজ করার অভিজ্ঞতা এর আগে কখনো হয়নি। নানা জলজপ্রাণী ঘুরে বেড়াচ্ছে। গা ঘিনঘিন করে উঠছে। ড্রোন দিয়ে শট নেওয়া হবে। আমি নৌকার ওপর শুয়ে আছি। নৌকাতে বেশি নড়াচড়া করা যাবে না। নাহলে নির্ঘাত বিলের পচাপানিতে ডুবে মরতে হবে। শরীরে কাঁকড়া উঠছে নামছে। কখনো বা অচেনা প্রাণী।
জেরি বলেন, যখন শট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি, খেয়াল করলাম আমার বুকের ওপর দিয়ে একটা কালো কুচকুচে সাপ নির্বিঘ্নে পার হয়ে গেল। আমি জাস্ট চোখ বন্ধ করে ফেললাম। আমার পুরো শরীর দিয়ে যেন একটা ভয়ংকর শীতল শ্রোত বয়ে গেল। এরচেয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা আমার জীবনে আর হয়নি। তবে ফাইনালি যখন আমাদের কাজ হলো, ফুটেজ দেখে শান্তি পেলাম। নাহ আমি পেরেছি।
স্বল্পদৈর্ঘ্য এই চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন বাপ্পিরাজ, নুসরাত জেরি, বদরুদ্দোজ্জা, নিলুফার ওয়াহিদ, আ মা ম হাসানুজ্জামান ও মাষ্টার আপন। চলচ্চিত্রটির শিরোনাম সংগীতে কন্ঠ দিয়েছেন আদনান রুশদি ও নাদিয়া ডোরা। অন্তর্জালে মুক্তির আগে ‘জল ও পানি’ বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণ করবে বলে নির্মা সূত্রে জানা গেছে।
এমটিনিউজ/এসএস