বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ০৬:২১:৫৮

'পদ্মাবত' নিয়ে যে কারণে চুপ ছিলেন শাহরুখ

'পদ্মাবত' নিয়ে যে কারণে চুপ ছিলেন শাহরুখ

বিনোদন ডেস্ক :  অবশেষে রব তুললেন 'রব নে বানা দি জোড়ি'র নায়ক। এত বিতর্কের পরও সঞ্জয়লীলা বনশালি পরিচালিত ছবি 'পদ্মাবত' নিয়ে কেন চুপ ছিলেন?

'পদ্মাবত' নিয়ে যে কারণে চুপ ছিলেন শাহরুখ :-

শাহরুখ বললেন, ভয়ের কারণে চুপ ছিলাম এমনটা নয়। ছবি যাতে বক্স অফিসে সাফল্য পায় সে জন্যই কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। সম্প্রতি মুম্বইয়ে আয়োজিত ম্যাগনেটিক মহারাষ্ট্র নামে একটি অনুষ্ঠানে বলিউড বাদশা বলেন, "ভয় পেয়েছে, লুকিয়ে পড়েছে, আমাকে নিয়ে বলিউড তারকাদের নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য প্রায়ই শোনা গিয়েছে।

অনেকেই বলেন বলিউড তারকারা কেবল মুনাফা লুঠতেই আসেন, সমাজের প্রতি তাঁদের কোনও দায় দায়িত্ব নেই। এটা ঠিক নয়। আমরা অবশ্যই আমাদের সমাজকে ভালবাসি। আমরা আনন্দ প্রদানের জন্যই সিনেমা বানাই এবং চাই গোটা সমাজ সুখী থাকুক।"

এমনকী, 'পদ্মাবত' বিতর্কে ঘৃতাহুতি না করে বরং চুপ করে থাকার পরামর্শই দীপিকা, রণবীর সিং, শহিদ কাপুরদের দিয়েছিলেন শাহরুখ খান। পরিচালক যেন প্রতিবাদীদের উদ্দেশে কিছু না বলে চুপ করে থাকনে, সে উপদেশও না কি দিয়েছেন এসআরকে। শাহরুখ বলেন, "প্রথম কয়েকদিনেই ছবির ব্যবসা হয়।

ওই দিনগুলিতে সমস্যা হলে অনেকটা ক্ষতি হয়ে যায়। সম্প্রতি পদ্মাবত-এর সঙ্গেও এমনটা হয়েছে। অনেকেই বলেছেন কেন অভিনেতারা এগিয়ে আসছেন না (বিতর্কের পর), লুকিয়ে যাচ্ছেন। আমরা লুকিয়ে পড়িনি। বিতর্কে না গিয়ে চুপ থাকতেই কুশীলবদের পরামর্শ দিয়েছিলাম।"

কেবল পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য নয়, শাহরুখ এতদিন চুপ ছিলেন দর্শকদের কথা ভেবেও। সিনেমা দেখতে এসে দর্শকরা আক্রান্ত হোক, সমস্যায় পড়ুক, সেটা কখনই চাননি ৫২ বছর বয়সী এই সুপারস্টার। তাঁর কথায়, "একজন পিতা হিসেবে আমি চাইব ছবি দেখতে এসেও আমার পরিবার নিরাপদে থাকুক। ছবি দেখে আনন্দ উপভোগ করুক।"

উল্লেখ্য, এর আগেও শাসক বিরোধী কথা বলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন শাহরুখ। 'অসহিষ্ণুতা' প্রসঙ্গে কথা বলে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার মত কথা শুনতে হয়েছিল আমিরকেও।

এমনকী রাষ্ট্রের রোষে পড়ে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে নিয়ে তৈরি হওয়া ছবির বেশ কিছু শব্দ। এমন অবস্থায় চুপ থাকাকেই হাতিয়ার পাল্টা প্রতিবাদের পথেই হাঁটলেন শাহরুখ, মত প্রগতিশীল সমাজের একাংশের। -জিনিউজ

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে