বিনোদন ডেস্ক : সাত দিন পরে তার জন্মদিন। একুশে পা দেবেন তিনি। জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন স্পর্শ করার প্রাক্-মুহূর্তে সব কিছুই যেন মূল্যহীন হয়ে গিয়েছে জাহ্নবী কাপূরের জীবনে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মায়ের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই কান্না আর থামছেই না তার। শ্রীদেবীর মৃত্যু সংবাদ শোনার পরেই প্রযোজন করণ জোহর জাহ্নবীর লোখণ্ডওয়ালার বাড়িতে যান। সেখান থেকে তাকে গাড়িতে করে পৌঁছে দেন কাকা অনিল কাপূরের বাড়ি।
সেই সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু রেশমা শেট্টি। রেশমা জাহ্নবীর ম্যানেজারও। ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চ জন্ম জাহ্নবীর। মেয়ের বিংশতিতম জন্মদিনে শ্রীদেবী তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি সুন্দর পোস্ট করেছিলেন। জাহ্নবীর একেবারে ছোটবেলার ছবির কোলাজ ছিল সেই পোস্টে।
সঙ্গে মেয়েকে জন্মদিনে উইশ করে শ্রীদেবী লিখেছিলেন—‘আমার পরিকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা। এই পৃথিবীতে আমার কাছে যে সবচেয়ে দামি।’ আসলে প্রথম সন্তান হিসেবে জাহ্নবী বরাবরই মা শ্রীদেবীর হৃদয়ে বিশেষ জায়গা দখল করে ছিলেন।
মেয়ের প্রথম ছবি ‘ধড়ক’ নিয়ে প্রচণ্ড উত্তেজিত ছিলেন শ্রীদেবী। কিন্তু সেই ছবি তার আর দেখা হল না। মেয়ের ২১তম জন্মদিনের একেবারে কাছে এসে থেমে গেল তার জীবন। মা-মেয়ের সম্পর্কের গভীরতা বার বারই সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা বিভিন্ন ছবি থেকে।
শোনা যায়, ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে মায়ের খোঁজ করতেন জাহ্নবী। জীবন কখনও এক ভাবে চলে না। মাঝে মাঝে এমন সব জটিল বাঁকের মুখে দাঁড়িয়ে পড়ে যে সব কিছু অন্ধকারের মধ্যে তলিয়ে গিয়েছে বলে মনে হয়। মায়ের দেহ দাহ হবে আর কিছুক্ষণের মধ্যে। এবার একাই পথ চলা, সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ।
আপাতত শোকে মুহ্যমান জাহ্নবীকে তার পর ফিরতে হবে শ্যুটিংয়ে। মায়ের দেখা স্বপ্নকে ছুঁতে। সে ভাবেই হয়তো নিজের মা’কে ফিরে পাবেন তিনি। কেননা মানুষের মৃত্যু হলেও তার স্বপ্ন থেকে যায় তারই প্রিয়জনদের মধ্যে। জীবন এরকমই। কিছু হারায় না আসলে। থেকে যায়।
এমটিনিউজ/এসএস