বৃহস্পতিবার, ০১ মার্চ, ২০১৮, ১২:৪৮:১৫

এবার সামনে আসলো আশ্চর্য এক তথ্য, মিঠুনকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শ্রীদেবী

এবার সামনে আসলো আশ্চর্য এক তথ্য, মিঠুনকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শ্রীদেবী

বিনোদন ডেস্ক : শ্রীদেবী হিন্দি ছবির জগতে পা রাখামাত্র সারা ভারতের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন। একটা সময় ছিল, যখন শ্রীদেবীকে ভেবেই ছবির চিত্রনাট্য লেখা হতো। নায়িকাকেন্দ্রিক হতো সেসব ছবি, যা পুরুষশাসিত ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে একটা অভিনব ঘটনা।

সে অর্থে শ্রীদেবীই হয়ে উঠতে পেরেছিলেন ভারতীয় সিনেমার প্রথম মহিলা সুপারস্টার। এর পাশাপাশি কলকাতা, তথা পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী মানুষদের মনে শ্রীদেবীর জন্য আলাদা একটা জায়গা তৈরি হয়েছিল, তৈরি হয়েছিল বাড়তি একটু খাতির। কারণ, হিন্দি ছবির বাঙালি সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে শ্রীদেবীর গোপন প্রেম।

যে প্রেম গোপন হয়েও গোপন থাকেনি। পুরো ভারত জানত শ্রীদেবী তখন বাংলার বধূ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু তার সঙ্গে মিঠুনের যখন সম্পর্ক, তখন মিঠুন বিবাহিত। তার স্ত্রী যোগিতা বালিও একজন অভিনেত্রী এবং খুব নামকরা। তাদের সংসারে এসেছে বড় ছেলে মিমো।

এমন সময়ে মিঠুন-শ্রীদেবী সম্পর্ক। সুপারহিট জুটি। পরপর হিট। দক্ষিণ থেকে আসা শ্রীদেবী ঝড় তুলেছেন। আর বঙ্গতনয় মিঠুন বলিউডে প্রতিষ্ঠার সব ব্যাকরণ ভেঙে নিজস্ব অভিধান চালু করেছেন। পর্দার জুটি ক্রমশ পর্দার বাইরেও। সব জানতেন মিঠুনের বন্ধু তথা দাদা অধুনাপ্রয়াত গৌতম আর শ্রীদেবীর বোন।

দুই নক্ষত্রের একান্তে দেখার আয়োজন সম্ভবত তারাই করতেন। এখান থেকেই আরও গভীরতা। এবং শেষে একটি বিশেষ মন্দিরে হিন্দুমতে বিয়ে। তিনদিনের মধুচন্দ্রিমা। এর পরেই আশ্চর্য সংকট।

শ্রীদেবীর তখন বক্তব্য, মিঠুনকে পরিবার ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে। শ্রীদেবীর দিক থেকে এটা ছিল সঠিক দাবি। কিন্তু মিঠুন স্ত্রী, পুত্রকে ছেড়ে বেরোতে পারলেন না। বাবা, মাও মিঠুনকে সমর্থন করলেন না।

এবার সামনে আসলো আশ্চর্য এক তথ্য, মিঠুনকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শ্রীদেবী। মিঠুন সময় চাইলেন শ্রীদেবীর কাছে। মিঠুনপ্রেমে প্রবলভাবে মজে থাকা শ্রীদেবী মিঠুনকে সময় দিয়েছিলেন মাত্র ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টা। বাড়ি ছেড়ে আসার। অন্যথায় শ্রীদেবী অপেক্ষা করবেন না। শ্রীদেবীর এই চাপটা ছিল গভীর প্রেম থেকেই। মিঠুনকে নিজের মতো করে পাওয়ার জন্য।

তবে এই সময়সীমাটাই যেন ব্যক্তিগত সম্পর্কের সীমা ছাড়িয়ে দুই সুপারস্টারের ইগোর সংঘাতে পরিণত হল। মিঠুন সময়ের চাপ মানতে পারলেন না। শ্রীদেবী সরে গেলেন। কিন্তু মিঠুন এবং শ্রীদেবী, দু’জনের মধ্যেই অসম্পূর্ণ সম্পর্কের দুঃখবোধটা ছিল। যে কথা নিজের ফেসবুকে খোলাখুলি জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ, সাংবাদিক এবং একসময় মিঠুন চক্রবর্তীর বাণিজ্যিক সহযোগী কুনাল ঘোষ।

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে