রবিবার, ০৫ এপ্রিল, ২০২০, ০১:২৭:২৪

অক্ষয়-কারিশমার বিয়ে ঠিক হয়েও ভেঙে গিয়েছিল যার কারণে

অক্ষয়-কারিশমার বিয়ে ঠিক হয়েও ভেঙে গিয়েছিল যার কারণে

বিনোদন ডেস্ক: নব্বইয়ের দশকে বলিউডের অন্যতম হিট অভিনেত্রী ছিলেন লোলো। অর্থাৎ কারিশমা কাপুর। তবে ক্যারিয়ারে যেভাবে তিনি সাফল্য পেয়েছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনে তেমনটা হয়নি।বরং ব্যক্তিগত জীবনে বারবার হোঁ'চট খেতে হয়েছে তাকে। কখনও অজয় দেবগন কখনও অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে তার নাম জ'ড়িয়েছে।

বিয়ের আগে যে সম্পর্কগুলোয় জ'ড়িয়েছিলেন, কোনওটাই খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। শেষমেশ বিয়ে করেছিলেন এক ব্যবসায়ীকে। কিন্তু সেখানে পদে পদে বা'ধা নেমে এসেছিল তার জীবনে।গার্হস্থ্য সহিং'সতার শি'কার হন কারিশমা। বিয়ের প্রায় ১৩ বছর পর ডিভো'র্স দেন কারিশমা। তারপর থেকে ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে একাই থাকেন তিনি।

কারিশমার জীবনটা হয়তো একটু অন্যরকমও হতে পারত। যদি তার বিয়ে অক্ষয় খান্নার সঙ্গে হত! অনেকেই জানেন না, একসময় করিশমা আর অক্ষয় খান্নার বিয়ে প্রায় স্থির হয়ে গিয়েছিল।কারিশ্মা কাপুরের বাবা রণধীর কাপুর মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে বিনোদ খান্নার কাছে গিয়েছিলেন।ছেলের জন্য বিনোদ খান্নাও এরকমই একজন সুন্দরী এবং সফল পাত্রী খুঁ'জছিলেন। এই বিয়েতে তিনিও রাজি হয়ে যান।

সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। ইন্ডাস্ট্রিতে সে সময় অক্ষয় আর কারিশমাকে নিয়ে কানাঘু'ষাও শুরু হয়েছিল।দুজনের আবেদনময়ী ফটোশুট সেই গু'ঞ্জন কয়েকগুণ বা'ড়িয়ে দিয়েছিল। অক্ষয়-কারিশমার জুটিকে বেশ পছন্দ করেছিল বলিউড।কিন্তু শেষমেশ তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। কারণ তাদের সম্পর্কের মাঝে চলে এসেছিলেন কারিশমার খুব কাছের একজন মানুষ।

কারিশমার মা। ববিতা কাপুর। অক্ষয়কে নিয়ে খুব একটা আপ'ত্তি ছিল না তার। কিন্তু এই বিয়েতে তিনি রাজি ছিলেন না।কারণ ছিল একটাই। সে সময় করিশমা বলিউডের সুপারহিট নায়িকা। একটার পর একটা হিট ফিল্ম দিয়ে চলেছেন।আর অন্যদিকে অক্ষয় খান্না সবেমাত্র ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছেন। তার ক্যারিয়ার গ্রাফ কোনদিকে যাবে তার কোনও ঠিক ঠিকানা ছিল না।বড় মেয়ের জন্য এমন জামাই মোটেই পছন্দ ছিল না ববিতার। তাই স্বামীর বিরু'দ্ধে গিয়েই এই বিয়ে ভে'ঙে দেন তিনি।

২০০৩ সালে ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ২০১৬ সালে ডিভো'র্স হয়ে যায়। এক ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকেন কারিশমা। অক্ষয় খান্নাও আর বিয়ে করেননি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে