বিনোদন ডেস্ক : বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের তা'ন্ডব। তার মধ্যে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। লকডাউনের সময় এক জোট হয়ে ইফতার আর সম্ভব নয়। এই পরি'স্থিতিতে আবার নতুন ভাবে উদ্যোগী হলেন অভিনেতা, সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। কলকাতার রাজপুর আর সোনারপুর এলাকার যে সব মানুষের সঙ্গে গত বছরও একসঙ্গে বসে ইফতার করেছিলেন তাদের কাছে পৌঁছে গেলেন মিমি।
এই প্রথম কোনও সাংসদ লাইভ স্ট্রিমিং-এ তার কাছের মানুষদের সঙ্গে কথা বললেন। ''প্রত্যেক বার রমজানের সময় ওই এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে যাই। কথা বলি। একসঙ্গে খাই। রমজান আসতেই মনে হচ্ছিল, কী করি? আমার দক্ষ অফিসের টিম প্রস্তুত হয়ে গেল। ইফতারের সামগ্রী পাঠালাম আর ওঁদের ফোনে বা ল্যাপটপে সরাসরি অসুবিধের কথা জানতে পারলাম'', বললেন মিমি চক্রবর্তী।
একটি বিশেষ কোডের মাধ্যমে সোনারপুর, রাজপুর অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন তিনি। তাদের প্রিয় সংসদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে ও ইফতারের সামগ্রী পেয়ে মানুষও আজ খুশি। করোনা সম্পর্কে রাজ্য সরকারের নিয়মাবলীর কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মিমি ওই লাইভ স্ট্রিমিং-এর মাধ্যমে। করোনা সত'র্কতা নিয়ে বরাবর তৎপর মিমি।
কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনা যু'দ্ধে রো'গ প্রতিরো'ধ ক্ষ'মতা গড়ে তোলার জন্য নানা রকম টিপস দিচ্ছেন। কখনও তার অফিসের লোকজন খাবার নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কখনও বা 'চা কাকু'র মতো মানুষের সারা জীবনের দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। লাঙলবেড়িয়া গোবিন্দপুরের কাছে আনন্দ ঘর ফাউন্ডেশনে এর কিছু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু এবং এইচআইভি পজিটিভ শিশুদের মুখে নববর্ষের দিনে হাসি ফুটিয়েছিলেন মিমি। নববর্ষে মোট ১২০ জন শিশুর জন্য জামাকাপড় ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন মিমি।