মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:৩৭:৫১

আমরা একেবারে 'সর্বস্বান্ত' হয়ে গেছি ভাই : সাদেক বাচ্চুর স্ত্রী

আমরা একেবারে 'সর্বস্বান্ত' হয়ে গেছি ভাই : সাদেক বাচ্চুর স্ত্রী

বিনোদন ডেস্ক : "আমরা একেবারে 'সর্বস্বান্ত' হয়ে গেছি ভাই, আমার ছোট ছোট ছোট বাচ্চা, সব উনি সামলে রেখেছিলেন। হুট করে এভাবে চলে যাবেন, আমরা ভাবতেও পারছি না। কী করব না করব; কিছুই ভেবে পাচ্ছি না।" বলতে বলতেই কান্নায় ভে'ঙে পড়েন সদ্যঃপ্রয়া'ত অভিনেতা সাদেক বাচ্চুর স্ত্রী শাহনাজ। 

না ফেরার দেশে চলে গেছেন শ'ক্তিমান এই অভিনেতা। তালতলা কবস্থানে সমাহিত হয়েছেন। তার মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি মু'ষড়ে পড়েছেন স্ত্রী শাহনাজ। সাদেক বাচ্চু নিজের ভাই-বোনদের মানুষ করতে গিয়ে মাত্র ১৫ বছর ৭ মাস বয়সে চাকরি নেন। বিয়ে করেন একেবারে ৪০ বছর পেরিয়ে গেলে। স্বামীর মৃত্যুতে একেবারে ভে'ঙে পড়েছেন স্ত্রী শাহনাজ।

২০১৩ সালে সাদেক বাচ্চুকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় ইউনাইটেড হাসপাতলে খরচ হয়েছিল ৩০ লাখ টাকা। যা সাদেক বাচ্চুর অবসরের প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে পরিশো'ধ করা হয়। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা। তার পরেও ফেরানো যায়নি সাদেক বাচ্চুকে। তিন অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলে-মেয়েকে রেখে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে দীর্ঘ সময় তিনি কান্নার কারণে কথা বলতে পারছিলেন না শাহনাজ। ধাত'স্ত হয়ে বলেন, ''আমি কখনোই ভাবিনি উনি এভাবে চলে যাবেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। এই অসময়ে চলে গেলেন, এখন আমরা জানি না আমাদের কী হবে। আমার বড় মেয়েটা মাত্র ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার ফাইনাল দিয়েছে, ছোট মেয়েটা দশম শ্রেণিতে পড়ে। একমাত্র ছোট ছেলে, সে তো অনেক ছোট, মাত্র সিক্সে পড়ে। আমরা এখন কিভাবে চলব, আমি কিছুই ভেবে পাচ্ছি না।''

২০১৩ সালে সাদেক বাচ্চুকে লাইফ সা'পো'র্টে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় ইউনাইটেড হাসপাতলে খরচ হয়েছিল ৩০ লাখ টাকা। যা সাদেক বাচ্চুর অবসরের প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে প'রিশো'ধ করা হয়। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা। তার পরেও ফেরানো যায়নি সাদেক বাচ্চুকে। তিন অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলে-মেয়েকে রেখে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে