রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৫:৩১:৫৫

আমি যদি আত্মহত্যা করি তার জন্য হিশাম দায়ী থাকবে : তমা মির্জা

আমি যদি আত্মহত্যা করি তার জন্য হিশাম দায়ী থাকবে : তমা মির্জা

বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি দেশে ফিরে স্বামী কানাডা প্রবাসী ব্যবসায়ী হিশাম চিশতীর সঙ্গে সম্পর্কটা একদমই ভালো যাচ্ছে না চিত্রনায়িকা তমা মির্জার। টানাপোড়েন নিয়ে পাল্লাপাল্টি মামলাও করেছেন তারা। গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করেন হিশাম। মামলায় তমা মির্জা ছাড়াও তার পরিবারের কয়েকজনকে আসামি করেন। হিশামের মামলার একদিন আগে মামলা করেন তমা।

মামলার পরপরই কানাডা চলে যান হিশাম। এবার বিষয়টি নিয়ে সরাসরি ফেসবুক লাইভে কথা বললেন তমা। শনিবার রাত ১০টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন তিনি। প্রায় চল্লিশ মিনিটের লাইভের শেষদিকে তমা আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়েছেন। আর তার মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন হিশাম চিশতী, সেটাও দাবি করেছেন।

তমা বলেন, ''কানাডার টরেন্টো শহরে প্রায় ৫০ হাজার রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী আছে। যারা বছরে দুই/তিনটি বাড়ি বিক্রি করতে পারেন। হিশামও তাদের মধ্যে একজন। তাই তাকে বিগশট যারা ভাবছেন, সে তা নয়। তারপর কথা এসেছে, তিনি কানাডাতে সাংস্কৃতিক শো স্পন্সর করেন। ২০০-৫০০ ডলার দিয়েই এসব স্পন্সর হয়। আমি আসলে তার স্পন্সরের চেয়ে তিন চারগুণ সম্মানী পাই। হিশামের সঙ্গে পরিচয় আমাদের দুজনেরই এক কমন বন্ধুর মাধ্যমে। প্রথমেই তাকে আমি অত্যন্ত ভদ্র ছেলে হিসেবে জেনেছি। তার কনভেন্সিং পাওয়ার খুবই বেশি; যার ফলে অল্প সময়ের মধ্যে আমি তাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই।'

ডিভোর্সের প্রসঙ্গে তমা কাগজ দেখিয়ে বলেন, সে নাকি ডিভোর্স চেয়েছে, আমি নাকি তা দিইনি। অথচ গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর আমি ডিভোর্স ফাইল করি। এটা বিয়ের ছয় মাসের মধ্যে। সে কিন্তু ডিভোর্স ফাইল করেননি। আমি সেখানে উল্লেখ করেছি, কী কী কারণে আমি এটা করতে চাইছি। আমার শাশুড়ি খুব ভালো মানুষ। তিনি মারা গেছেন। কিডনি রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসকরা বলে দিয়েছিলেন, তিনি আর বেশি দিন বাঁচবেন না। তিনি চলাফেরা করতে পারতেন না। হুইলচেয়ারে করে সেই মানুষ আমার বাসা এসে বলেন, 'আমি বেঁচে থাকতে এটা দেখতে পারব না যে, তমা আমার ছেলেকে ডিভোর্স দিয়েছে। যেহেতু আমি মৃত্যু পথযাত্রী, তমা তুমি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ডিভোর্সটা তুলে নাও।' সবকিছু মিলিয়ে আমি ডিসেম্বরে ২৫ বা ২৬ তারিখে সেটা তুলে নিই।

হিশাম প্রায়ই মারামারি করতেন জানিয়ে তমা বলেন, 'হিশামের মারামারি করার ঘটনা নতুন নয়। তার আইনজীবীর চেম্বারেও সেটা করেছেন। সেই সময়ের ভিডিও ফুটেজ আমি সাইবার ক্রাইম ইউনিটে জমা দিয়েছি। সে ফুটেজে স্পষ্ট আছে কীভাবে সে সিনক্রিয়েট করেছে, মারামারি করেছ। এর আগেও সে আমার গায়ে হাত তুলেছে, প্রচণ্ড মারধর করেছে। তার নামে সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। তখন আমাকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়। সেখান থেকে বাসায় এনে আমাকে আটকে রাখে হিশাম। এরপর যখন থানায় যাই, তখনও আমার ঠোঁট ফোলা ও মুখে মারের দাগ ছিল। আমার মনে হয়েছে, হয়তো কমবেশি সব নারীই আক্রান্ত হন। তখন আশেপাশের অনেকেই মেয়ের দোষ খোঁজেন।'

লাইভের শেষদিকে কেঁদে দিয়ে তমা বলেন, 'এরপর যদি হিশাম আমার আর কোনো ব্যক্তিগত ছবি বা বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করে বা প্রকাশ করে তাহলে আমি যদি আত্মহত্যা করি তার জন্য হিশাম দায়ী থাকবে। হিশাম ফেসবুকে আমাকে নিয়ে নোংরা পোস্ট দিত। সে আমার কাছে এসবের জন্য মাফও চেয়েছে। বলেছে, আর কখনও আমাকে নিয়ে বাজে পোস্ট করবে না।' উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক হিশাম চিশতিকে বিয়ে করেন তমা মির্জা। পরে বিয়ের দেড় বছর পর গত ১১ অক্টোবর হানিমুনের উদ্দেশে দুবাই যান এ দম্পতি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে