বুধবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৭:৩৫:০৮

সালমানের মামলায় ১৬ ভুল!

সালমানের মামলায় ১৬ ভুল!

বিনোদন ডেস্ক : সালমান খান মামলার তদন্তে মুম্বাই পুলিশ যে ‘ভুল’ করেছে তার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। তা থেকে শিক্ষা নিতে নির্দেশিকা জারি করলেন মুম্বাই পুলিসের অপরাধ সংক্রান্ত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কে এমএম প্রসন্ন।

পদ্ধতিগত ভুল থেকে বাছাই করা ১৬টি ভুলের তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সব থানায়। প্রসন্ন বলেছেন, হাইকোর্ট তদন্তকারীদের কী কী ভুল ধরেছে, তা জেনে নেওয়া উচিত। সেই ভুল যাতে আর না হয় তার জন্যই এই নির্দেশিকা। সালমান মামলাকে সামনে রেখে ‘ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়া’ সংক্রান্ত মামলার তদন্তের নির্দেশিকা তৈরি করেছে মুম্বাই পুলিশ।

যাতে আদালতের শুনানির সময় আগে থেকে তৈরি থাকতে পারে পুলিশ। বলা হয়েছে, সালমান সান্তাক্রুজের ‘রেন বার’ থেকে মদ খেয়েছিলেন। তার বিল সংগ্রহ করা হলেও তা আদালতে প্রমাণ হিসেবে গৃহীত হয়নি। কারণ এই বিল প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরার জন্য যে পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত ছিল (এভিডেন্স অ্যাক্টের ৬৫ বি ধারা) তা হয়নি।

জে ডব্লু ম্যারিয়ট হোটেলের বিল এবং গাড়ির পার্কিং ট্যাগ সংগ্রহ করা হলেও তা আদালতে জমা দেওয়া হয়নি। কারণ তদন্তকারীদের সন্দেহ ছিল ‘রেন বার’ থেকে বেরিয়ে সালমান কোথায় গিয়েছিলেন তা জানাতে এই বিল এবং ট্যাগ কাজে আসবে না। ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল থেকেই বান্দ্রা থানায় হাজির ছিলেন সালমান।

তখন তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হল না। বিকেলে জে জে হাসপাতালে এই রক্ত নেওয়া হয়। নারুলা নামে এক ব্যক্তির রক্তের নুমনা যদি ভাবা হাসপাতালে নেওয়া হয়ে থাকে সালমানের রক্তের নমুনা কেন নেওয়া হল জে জে হাসপাতালে, তার সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

২৮ সেপ্টেম্বর জে জে থেকে রক্ত এসে পৌঁছায় বান্দ্রা থানায়। সেই রক্ত ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ৩০ তারিখ। এই রক্তের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। হয় এই নমুনা পাল্টে ফেলা হয়েছে, অথবা তা যথাযথ সংরক্ষণ করা হয়নি। হাসপাতাল থেকে যিনি সেই রক্তের নমুনা এনেছিলেন সেই কনস্টেবলের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়নি। তাকেও পরীক্ষা করা হয়নি।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, দুটি পাত্রে ৬ মিলি রক্ত সংগ্রহ করা হলেও ল্যাবে পৌঁছেছিল ৪ মিলি রক্ত। পরীক্ষাগারে যিনি নমুনা জমা নিয়েছিলেন তার বক্তব্য জানা হয়নি। ১৬১ ধারা অনুযায়ী সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করা হয়নি। কেউ বলেনি সালমান গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সালমানের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, গাড়ির চাকা ফেটে যেতেই এই বিপত্তি ঘটেছিল। সেই গাড়ির চাকা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি।

১৩ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে