বিনোদন ডেস্ক: শিবসেনা প্রধান ও মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে থেকে টুইটারের নির্বাহী প্রধান (সিইও) পরাগ আগরওয়াল সবার পরিণতি একই। যে অভিশাপ বা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত সেটাই সত্য হলো।
জাদুবিদ্যা নাকি অভিশাপ? কঙ্গনার ভবিষ্যদ্বাণী কিভাবে সত্য হয়! ভারতের নেটমাধ্যমে চর্চার বিষয় এখন কঙ্গনার ভবিষ্যদ্বাণী। টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক। ২৮ অক্টোবর এই খবর আসা মাত্র বেজায় খুশি হয়েছেন কঙ্গনা। নায়িকার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি এমনটাই আভাস দেয়।
বিতর্কিত টুইটের জেরে কঙ্গনার টুইটার প্রোফাইল বহিষ্কার করা হয়েছে অনেক দিন আগে। বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে নায়িকার বিতর্কিত মন্তব্য খানিকটা সমস্যায় ফেলেছিল তাকে। ইলন মাস্কের এই অধিগ্রহণ কিছুটা হলেও আশা জাগিয়েছে কঙ্গনার মনে।
টুইটার অধিগ্রহণের পরই সংস্থার সিইও পরাগ আগরওয়ালকে ছাঁটাই করেছেন ইলন মাস্ক। আর এই প্রসঙ্গে কঙ্গনার প্রতিক্রিয়া, “আমি আগে থেকেই এইগুলো বুঝতে পারি। আমার ভবিষ্যদ্বাণীকে কেউ বলেন অভিশাপ কেউ বলেন জাদুবিদ্যা। কত দিন আমার এই প্রতিভাকে মানুষ উপেক্ষা করবে!”
মালিকানা বদলের পর থেকেই কঙ্গনাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা রকমের মজাদার পোস্ট। কেউ লিখছেন, “দয়া করে কঙ্গনার টুইটার প্রোফাইল আবার ফিরিয়ে আনা হোক। বামপন্থীদের কারসাজির জন্য এই এমনটা হয়েছে।” কঙ্গনাও মজা করে লিখেছেন, “টুইটারের বন্ধুদের মিস করছি।” নায়িকার এই আশা কি পূরণ করবেন ইলন মাস্ক? সেই উত্তর দেবে সময়।
দুই বছর আগে বিএমসির তরফ থেকে বেআইনি নির্মাণের কারণ দেখিয়ে কঙ্গনার অফিসের একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়। সেই সময় কঙ্গনা বলেছিলেন, ‘উদ্ধব ঠাকরে তোর কী মনে হয়? ফিল্ম মাফিয়াদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে এরকমটা করলি। আজ আমার ঘর ভেঙেছে, কাল তোর অহংকার ভাঙবে। এটা সময়ের চাকা, মনে রাখিস।’ এই ঘটনার এক বছরের মাথায় উদ্ধব ঠাকরের সরকার পড়ে যায়।