বুধবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২২, ০৬:৩৪:৫৯

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোয়ন পেতে চাই : সিদ্দিক

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোয়ন পেতে চাই : সিদ্দিক

মাহতাব হোসেন: ২০০৭ সালের শেষের দিকের ইফতেখার আহমেদ ফাহমির জন্য লিখেছিলেন, ‘কবি বলেছেন। ’ এটিই ছিল সিদ্দিকের প্রথম কাজ। কিন্তু পর্দার অভিনেতা সিদ্দিক হিসেবে, দীপংকর দীপনের রুদ্র ও রোদেলা কাব্যতে ‘কাউয়া সিদ্দিক’ নামে অভিষিক্ত হন। এরপর অভিনেতা হিসেবে সিদ্দিককে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল ১ (মধুপুর-ধনবাড়ি) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সিদ্দিক। এবারের রাজনৈতিক পরিকল্পনা, সাম্প্রতিক ব্যস্ততা, ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা হলো সিদ্দিকের সঙ্গে।

এখন কী নিয়ে ব্যস্ত আছেন,  কী করছেন? আমি এখন খুবই ব্যস্ত নির্বাচনী কার্যক্রম নিয়ে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোয়ন পেতে চাই। রাজনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছি। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে চলাফেরা বাড়িয়েছি। এছাড়াও টাঙ্গাইলে যাতায়াত ও সেখানের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছি। এই মুহূর্তে আমার মাথায় আগামী নির্বাচন নিয়ে চিন্তা, অন্য কিছু করছি না। এখন টেলিভিশনে আমি পলিটিক্যাল টক শো'তেও যাচ্ছি।

টাঙ্গাইল থেকে নির্বাচন করবেন? সেখানে আমি নিয়মিত সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। গণসংযোগ করছি। আমি সব সময় টাঙ্গাইল-১ আসনের মানুষের পাশে রয়েছি। তবে এবার আমি ঢাকা-১৭ আসন থেকেও মনোনয়ন প্রত্যাশী। এই আসনে ফারুক ভাই নির্বাচন করেছিলেন। এটা ভিআইপি এলাকা। এই আসনে শিল্পীরা নির্বাচন করেন। ফারুক ভাই যেহেতু এবার অসুস্থ তাই আমি এই আসন থেকে ইলেকশন করতে চাই। ইতোমধ্যে আমি তৎপরতা শুরু করেছি।

হুট করে গুলশান? হুট করে না। আমি তো এখন গুলশানের মানুষ। এখানে মরিয়ম টাওয়ারে অফিস। বাসা পাশেই। বর্তমানে আমি তো গুলশানের বাসিন্দা। এখানেই আমার সব। এ জন্য ভেবেছি এই আসনেও মনোয়ন চাইবো।  

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নতুন কিছু...  আমি এখন বিয়ের কথা ভাবছি না। বিয়ে হয়তো করবো। এমন একজনকে কারবো যার সঙ্গে সারাটি জীবন কাটাবো। একবার বিয়ে করে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তাতে করে বিয়েটা করলে ভেবেচিন্তে-দেখে শুনে করতে হবে। তাছাড়া আগের ডিভোর্সের যেসব কারণ উল্লেখ করা হয়েছে- সেগুলো আমি ইনভেস্টিগেশন করছি। এখন বিয়ে করতে হলে আমার ছেলের কথাও আমাকে ভাবতে হবে।

আপনার ছেলে কার সঙ্গে থাকে?  আমি আমার ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ বানাতে চাই। শুধু তাঁর কথা ভেবেই এখনো বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। এই দেশে ছেলেদের কথা উঠে আসে না। উঠে আসে সিঙ্গেল মাদারদের কথা। আমি আমার ছেলেকে মানুষ করছি। আমি একজন সিঙ্গেল ফাদার। আমার ছেলে আরশকে আমি একজন সিঙ্গেল ফাদার হয়ে বড় করে তুলছি। ছেলে আমার সঙ্গে থাকে, তার মায়ের সঙ্গেও থাকে। আমি সিঙ্গেল ফাদার শব্দটাকেও প্রতিষ্ঠিত করবো কি না ভাবছি। এমনও হতে পারে আমি বিয়ে নাও করতে পারি। বিয়ে করে বিচ্ছেদ হোক তা চাই না।

মারিয়া মিমের সঙ্গে আলাদা হয়ে যাওয়ার কারণ কী? আসলে আমি তার বিষয়ে এখন আর কথা বলতে চাই না। আপনারা জানেন সে নিজেই চলে গেছে। আমি শুধু বলবো সে মিডিয়ার রঙিন জীবন দেখে আকৃষ্ট হয়েছে। সে ভেবেছে এখানে এলে বড়কিছু হয়ে যাবে। কিন্তু সে যে পথে হেঁটেছে সেটা রাইট ওয়ে না। যার ফলে সে কী হয়েছে দেখেছেন। রঙিন জগত সত্যিকার অর্থে কালারফুল না। মূলত তাঁর আকাঙ্ক্ষার কারণেই বিচ্ছেদ হয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে