রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ০৫:০৯:৫২

মেসি ইজ ব্যাক, আমরা সবাই আর্জেন্টিনাকে ভালোবাসি: প্রসেনজিৎ

মেসি ইজ ব্যাক, আমরা সবাই আর্জেন্টিনাকে ভালোবাসি: প্রসেনজিৎ

বিনোদন ডেস্ক: ফিনিক্স পাখির মতো বিশ্বকাপে ফিরে এলো আর্জেন্টিনা। ফিরে এল সেই মেসি ম্যাজিক যা দেখতে কাতারে জড়ো হয়েছে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা তার ফ্যানেরা। শুধু কাতার বা আর্জেন্টিনায় নয়, তার থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শহর কলকাতাতেও এসে ঠেকেছে আবেগের সেই ঢেউ। 

চলতি বিশ্বকাপে সৌদি আরবের কাছে হারের পর জেতা ছাড়া আর কোনও পথ ছিল না আর্জেন্টিনার। কার্যত ভয়েই ছিল আর্জেন্টিনার ফ্যানেরা। কিন্তু যে দলে ভক্তের ভগবান আছে, তারাই তো ভয়কে জয় করতে জানেন। তিনি হারলে তো হেরে যেত ফুটবল, তাই তাকে তো জিততেই হতো। হলও সেটাই।

ম্যাচের ৬৪ মিনিটে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ৬৪ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিলেন সেই মেসি। ডান দিক থেকে দি মারিয়া পাস দিয়েছিলেন মেসিকে। বাঁ পায়ের মেসির গড়ানো শট গোলকিপার ওচোয়াকে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যায়। বিশ্বকাপে ম্যাচের সংখ্যায় 'ফুটবলের রাজপুত্র' দিয়েগোকে ছুঁলেন মেসি। বিশ্বকাপে ২১ নম্বর ম্যাচ খেলছেন মেসি। 

বিশ্বকাপের মঞ্চে তার অন্যতম কঠিন ম্যাচ। মারাদোনার বিশ্বকাপে রয়েছে ৮ গোল, মেসি তার কেরিয়ারের অন্যতম কঠিন ম্যাচে গোল করে এবার তার 'আইডল'-কেও ছুঁলেন। আর মেসি, তার সেই শট বিপক্ষের জাল ঢুকতেই শিশুদের মতো সতীর্থদের সঙ্গে মেতে গেলেন ছোট্ট উৎসবে। চললো কয়েক মিনিটের সেলিব্রেশন। 

তারপর ফুটবল দুনিয়া যে দৃশ্য দেখল, সেটা হয়তো কেউ কল্পনাই করতে পারবে না। দুটি চোয়াল একেবারে শক্ত। দৃপ্ত দুই চোখ তাকিয়ে আছে গ্যালারি ভরানো অগণিত আর্জেন্টাইনদের দিকে। তাদের দিকে ডান হাত মুষ্টিবদ্ধ করে কিছু একটা বললেন। সরি, বললেন লেখা ভুল। চিৎকার করে হয়তো বলে উঠলেন, আমি তো আছি। চিন্তা কিসের! আমরা ঠিক পারব।

আনন্দের জোয়ারে ভেসে যায় লুসেল স্টেডিয়াম ও পৃথিবীর কত অজানা পাড়া, গলি, এলাকা, বস্তি। সবার চোখে তখন আনন্দের কান্না। এই শহরে বসেও সেই একই আবেগ অনুভব করেন আর্জেন্টিনার অসংখ্য ফ্যানেরা। তাদের মধ্যেই একজন সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী।

তবে তার মতে তিনি মেসিকে পছন্দ করেন কিন্তু তার পুত্র তৃষাণজিৎ মেসিকে নিয়ে পাগল। প্রসেনজিৎ জানান, ‘প্রত্যেকবারের মতো এবারও বিশ্বকাপের সময় সকালে আমরা কেউই কোনও কাজ করতে পারছি না। এই সারারাত জেগে খেলা দেখতে গিয়ে সকালে কাজের মধ্যে ঢুকতে বেশ অনেকটা সময় চলে যায়।’

তিনি বলেন, ‘শনিবারের খেলাটা বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল। আমি তো আছিই, আমরা সবাই ফুটবল ভালোবাসি তবে আমার ছেলে মেসির বড় ভক্ত। আমরা সবাই কাল খেলা দেখেছি, ও বাইরে আছে, খেলা দেখেছে। হাফ টাইম অবধি ম্যাচ দেখে মনে হচ্ছিল কী হবে, কী হতে চলেছে। আজকেও তিনটে খেলা খুব ইন্টারেস্টিং।’

প্রসেনজিৎ বলেন, ‘কাজের মধ্যেই খেলা দেখার চেষ্টা করি। তাও রাতের দিকে ম্যাচগুলো দেখা যায়। ভাবি যে একটু দেখে ঘুমিয়ে পড়ব, কিন্তু সেটা আর হয় না। শনিবারের খেলাটা ফাইনাল বা সেমিফাইনালের মতো খেলা হয়েছে। এটা একটা ফিভার, যেটা আপাতত চলবে। মেসি ইজ ব্যাক। আমরা সবাই আর্জেন্টিনাকে ভালোবাসি।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে