সিরাজগঞ্জ থেকে : লাখ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন কণ্ঠশিল্পী ও আয়মান প্রোডাকশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাল ফারদিন (৩২)। পুলিশ কর্মকর্তাসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি পরিশোধ করেননি বলে জানা গেছে।
শনিবার বিকালে ভ্রামামাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। তার বিরুদ্ধে একটি নাশকতা মামলাও আছে। এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের মুজিব সড়ক এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
সে ঢাকার নিউ মার্কেট থানার হাজারীবাগ ১৩/২ এলাকার মৃত মনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সমন্বয়ক। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম জানান, মাসুম বিল্লাল ফারদিন সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল বাশার, আবু রওশন, সদর থানার উপপরিদর্শক মানিকুল ইসলাম, বগুড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, ঢাকার বনানী এলাকার এ, জে প্রোপার্টিজের মালিকসহ বেশ কিছু লোকজনের কাছ থেকে প্রতারণা করে ৫০ লাখেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তারা লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে। ফারদিনের কাছ থেকে ৪টি পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে। তাতে বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন সংগঠন, ঢাকার জিগাতলা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট, দৈনিক দেশকাল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক গণজাগরণ পত্রিকার কালচারাল রিপোর্টার হিসেবে পরিচয় উল্লেখ রয়েছে।
পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে মাসুম বিল্লাল ফারদিন সাংবাদিকদের বলেন, প্রতারণার কারণে ২০১১ সালে নওগাঁয় ৯ মাস হাজত খেটেছি। বিভিন্ন কাজ করে দেয়ার জন্য পুলিশসহ সরকারি-বেসরকারি লোকজনের কাছ থেকে টাকাগুলো নিয়েছিলাম। কিন্তু কাজ না করে দিতে পারায় তার নামে এ প্রতারণার অভিযোগ তুলেছে।
সংবাদপত্রের পরিচিতি প্রসঙ্গে বলেন, আমি সাংবাদিকতা করি না। কিন্তু ৫ হাজার টাকা দিয়ে দৈনিক দেশকাল পত্রিকার কার্ড নিয়েছি। দৈনিক গণজাগরণ পত্রিকা বিনা টাকায় আমাকে কার্ড দিয়েছে। নিজের প্রতিষ্ঠিত আয়মান প্রোডাকশনের ব্যানারে কয়েকটি গানের অ্যালবাম বের করেছেন বলেও জানান তিনি। -মানবজমিন
৩১ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি