সোমবার, ০৮ জুলাই, ২০২৪, ০৮:০৪:২৫

শাকিব খানের সেই ইচ্ছা পূরণ হলো না, দেশে ফিরলেন বিষণ্ণ মনে!

শাকিব খানের সেই ইচ্ছা পূরণ হলো না, দেশে ফিরলেন বিষণ্ণ মনে!

বিনোদন ডেস্ক : গল্প গুণেই একটি সিনেমা দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠে। তাইতো গুণী নির্মাতারা সব সময় বলে থাকেন, একটি সিনেমার ভিত্তি তার গল্প। মৌলিক গল্পের সিনেমা সবসময় দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে নিয়ে আসতে ভূমিকা রেখে চলেছে।

এই ঈদে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত ‘তুফান’ নামে একটি সিনেমা। মুক্তির পর থেকেই নানান অভিযোগে অভিযুক্ত সিনেমাটি।

প্রধানতম অভিযোগ ছিল, অনেকগুলো ভারতীয় সিনেমার মিশেলে তৈরি হয়েছে ‘তুফান’। মুক্তির পর থেকে সিনেপ্লেক্সে কিছু দর্শক হলেও সিঙ্গেল স্ক্রিনে ছিল দর্শকরা।

এদিকে গত ৫ জুলাই ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পায় ‘তুফান’। অনেক হাঁকডাঁক দিলেও শাকিবের বাজার যে এখনো কলকাতায় তৈরি হয়নি, সেটা আবারও স্পষ্ট হলো এ সিনেমার মাধ্যমে। ‘তুফান’ ফ্লপ করেছে কলকাতায়।

অর্ধশতাধিক হল নিয়ে মুক্তি দিলেও দর্শকরার শাকিবের এ সিনেমা নিয়ে ভারতীয় দর্শকরা নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। সেখানে মোটেও চলছে সিনেমাটি।

এ বিষয়ে কলকাতা থেকে এক সাংবাদিক বলেন, ‘শাকিবের তুফান কলকাতাতে একবারেই চলছে না। আর চলবেই বা কেন! এই গল্পের সিনেমাতো আমাদের দর্শক আগেই দেখেছে। অনেক সিনেমার গল্প নিয়ে একটা জগাখিঁচুড়ি বানানো হয়েছে। কলকাতার স্মার্ট দর্শক অনেক এগিয়ে আছে। তারা অনেক আগেই এসব দেখে ফেলেছে। তাছাড়া শাকিবের বাজার নেই কলকাতায়। শাকিবের সিনেমা দর্শক দেখতে চায় না। এর আগেও শাকিবের অন্য সিনেমাগুলো কলকাতায় মুক্তি দিলেও সেগুলো সেভাবে চলেনি। এবারও বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি সেখানে দর্শক একেবারেই নেই।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে তুফান সংশ্লিষ্টরা অনেক ফাঁকা আওয়াজ তুললেও কলকাতায় তারা পুরোটাই ব্যর্থ। প্রথম দুইদিন সিনেমাহল ফাঁকা। আমাদের দর্শকরা এখন প্রভাসের ‘কল্কি’ নিয়েই ব্যস্ত। পরের সপ্তাহেও আসছে হিন্দি সিনেমা। সুতরাং আগামী সপ্তাহে যে তুফান একেবারেই বিলীন হয়ে যাবে, সেটা স্পষ্টই বোঝা যায়। তাছাড়া এই তুফানে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন আমাদের (কলকাতা) মিমি চক্রবর্তী, যার নিজের দেশেই তার কোনো বাজার নেই।’

এদিকে কলকাতা শহরে তুফান পোস্টারে ছেয়ে গেছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন ঢাকার কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে কলকাতার সেই সাংবাদিক বলেন, ‘তুফানের পোস্টার কোথাও নেই। এক দুই জায়গায় কয়েকটি পোস্টার রয়েছে। এটা দিয়েতো গোটা কলকাতা বোঝায় না।’

কলকাতা থেকে অনেকেই জানিয়েছেন, তুফান মূলত সেখানকার প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ’র সিনেমা। আইনি জটিলতা এড়াতে ও ঢাকার বাজার ধরতে বাংলাদেশি প্রযোজনা সংস্থার নাম দিয়ে এটা বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে কলকাতায় ব্যর্থ হয়ে বিষণ্ণ মনে শনিবার দুপুরের ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরেছেন শাকিব খান। সিনেমাটির প্রচারণায় সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। আশা করেছিলেন, কলকাতার এবার কিছু একটা করে দেখাবেন। কিন্তু তার সে ইচ্ছা আর পূরণ হলো না।

সেখানকার সিনেমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘কলকাতায় এতো সুপারস্টার থাকতে শাকিব গিয়েই সেখানকার বাজার দখল করে নেবেন, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। অনেক সময় এমনও হয়েছে, মৌলিক গল্পের সিনেমা হলে দর্শক তা দেখেন, কিন্তু তুফান’র গল্প নিয়েও রয়েছে নকলের অভিযোগ। তাহলে ব্যর্থ হওয়াটাই স্বাভাবিক। সবচেয়ে বড় কথা, এ ধরনের গল্প এখানকার দর্শকরা আগেই দেখে ফেলেছেন।’

প্রসঙ্গত, একজন গ্যাং'স্টা'রের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এ সিনেমা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে